নড়াইলের তিনটি উপজেলায় ৯১ হাজার ৬৩৩ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে সিভিল সার্জন অফিসের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক কর্মশালায় এ তথ্য জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার নুপুর কান্তি দাশ।
তিনি আরো জানান, আগামি ১১ জানুয়ারি শনিবার নড়াইলে ৬ থেকে ১১ মাসের শিশুকে একটি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাসের শিশুকে লাল রঙের ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল শুধু অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধই করে না, বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ডায়রিয়ার জটিলতা দুর করে শিশু মৃত্যু হার কমায়। এছাড়া শিশু মৃত্যুরোধে জন্মের পর নবজাতককে মায়ের শালদুধ পান করাতে হবে। ছয়মাস পর্যন্ত অন্য কোনো খাবার দেয়া যাবে না। ছয়মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়াতে হবে।
কর্মশালায় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার অনিন্দিতা ঘোষ, ডাক্তার শফিক তমাল, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবীর টুকু, সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা মোল্যা ফোরকান আলী, জেলা ইপিআই সুপারিনটেনডেন্ট হারাধন চন্দ্র মজুমদারসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় আরো জানানো হয়, নড়াইলে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ১১ হাজার ৮৪ শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন ’এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৮০হাজার ৫৪৯ শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৯৮২টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক হাজার ৯৪৬ স্বেচ্ছাসেবক, ৪৩০ কর্মী এবং ১৪৬ সুপারভাইজার জেলার তিনটি উপজেলার ৩৯টি ইউনিয়নে এবং নড়াইল ও কালিয়া পৌরসভার বিভিন্ন কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন।