যশোরের কেশবপুরের ঐতিহ্যবাহী বাওড় মর্শি¥নার দখল নিয়ে মৎস্যজীবীদের দু’পক্ষের দু’দফা সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে জাহানপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি অপূর্ব সরকার বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলার বেগমপুর মৌজায় বাওড় মর্শ্মিনায় যশোর জেলা প্রশাসকের অধীন ৫২.৩১ একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। ২ বছর আগে ওই বাওড়ের জমির মধ্যে থেকে ৩৩.৩১ একর জমি জাহানপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নামে ইজারা দেওয়া হয়। এরপর থেকে বাওড়ের দখল নেয়াকে কেন্দ্র করে জাহানপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি অপূর্ব সরকার গ্রুপের সাথে বিরোধ চলতেথাকে সাধারণ সম্পাদক রাজ কুমার সরকার গ্রুপের। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার স›ধ্যায় অপূর্ব সরকার গ্রুপের লোকজনকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিল রাজ কুমার গ্রুপের লোকজন। গত ৭ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) বাওড়টি পরিদর্শন করবেন এমন খবরে জাহানপুর মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি অপূর্ব সরকার গ্রুপের লোকজন বাওড় পরিচালনার পাকাঘর অফিসে অবস্থান করছিলেন। এ সময় ওই দিন দুপুরে ৪/৫ টি মোটর সাইকেল যোগে রাজ কুমার সরকারের নেতৃত্বে ও হুকুমে দীপক কুমার সরকার, মিঠু দফাদার, আবদুর রাজ্জাক, আলমগীর হোসেনসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন দূর্বৃত্ত পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক হাতে বাঁশের লাঠি, লোহার রড, দাসহ অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাওড়ের অফিস ঘরের মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করে তাদেরকে অশ্লীল, অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। একপর্যায়ে দূর্বৃত্তরা অফিসে থাকা ৫/৬ টি প্লাস্টিক চেয়ার, টেবিল ও বাওড়ের অফিস ঘরের দরজা জানালা ভেঙে প্রায় ২৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে। তাদের মারপিটে অপূর্ব সরকার গ্রুপের গণেশ সরকার, অবিনাশ সরকার, অনিল সরকার, দীলিপ সরকার, বৃদ্ধ নিমাই চন্দ্র সরকার, কৃষ্ণপদ সরকারসহ কমপক্ষে ওই সমিতির ১০ জন ও অপরপক্ষের ১ জন আহত হয়। আহতরা স্থানীয় ডাক্তারের চিকিৎসা নেয়।
মৎস্যজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজ কুমার সরকার বলেন, বাওড় নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষরা ওই দিন সন্ধ্যায় সমিতির সদস্য গুরুপদ সরকারকে পিটিয়ে আহত করেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেশবপুর থানার ওসি মো. আবু সাঈদ বলেন, ৭ জানুয়ারি রাতে মৎস্যজীবী সমিতির পক্ষে অপূর্ব সরকার থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছে। অভিযোগটি তদন্ত চলছে। সত্যতা মিললে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।