লোভনীয় অফারে গাড়ি কিনে দেবার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেবার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের মা-এন্টারপ্রাইজ শো-রুমের মালিক খোকন মিয়ার বিরুদ্ধে। সে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ছাড়াও বেশ কিছু স্থান থেকে একাধিক ব্যাক্তির নিকট থেকে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে অনেককে সর্বস্বান্ত করেছে। হরিনাকুন্ডু উপজেলার পাইলট স্কুলপাড়ার শরিফুল ইসলামের ছেলে খোকন বর্তমানে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুরে থাকেন। এমন প্রতারনার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ আদালতে একটি মামলাও হয়েছে।
ভুক্তভোগী কালীগঞ্জ উপজেলার উদ্যোক্তা কোচিংয়ের পরিচালক মতিউর রহমান জানান, পরিচয় সূত্রে প্রতারক খোকন মিয়া তার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলে। একপর্ষায়ে আমি একটি নতুন কেডিএস হাইস গাড়ি কিনব জেনে প্রতারক খোকন আমাকে কমদামে গাড়ি কিনে দিবে বলে মংলা পোর্টে নিয়ে যায়। এবং ২৬ লাখ টাকায় ওই গাড়ীটি কিনে দেবার কথা বলে গত বছরের এপ্রিল মাসে অগ্রিম বাবদ ৭ লাখ টাকা নেয়। এবং ডকুমেন্ট স্বরুপ তার নামের একটি চেক দেয়। এছাড়াও সে ৩ দিনের মধ্যে গাড়ি ডেলিভারি দিবে বলে মংলা পোর্টের একটি ভ’য়া গেট পাশ দেয়। এরপর থেকেই সে গাড়ি না দিয়ে নানা অজুহাত তুলে দিনের পর দিন ঘোরাতে থাকে। এমতাবস্থায় আমার অগ্রিম টাকা ফেরতে খোকনের দেওয়া ব্যাংক চেকটি ব্যাংকে জমা দিয়ে দেখি তার একাউন্টে কোনো টাকা নাই। টাকা পরিশোধে খোকন একের পর এক তালবাহানা করে ঘোরাতে থাকে।
এক পর্ষায়ে আমি বাধ্য হয়ে বিষয়টি নিয়ে তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট বিচার দিলে প্রতারক খোকন জুলাই মাসে নগদ ৩ লাখ পরিশোধ করে। এবং চলতি মাসেই বাকি ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করবে বলে ইসলামি ব্যাংক ঝিনাইদহের শাখার খোকনের নামের সঞ্চয়ী ২০৫০১৭৫০২০২৬৬২৬০ হিসাব নম্বরের এমসিসি ৮০৬৯৯১৮ নম্বরের একটি চেক দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ২১/০৭/ ১৯ ইং তারিখে ওই চেকটি ব্যাংকে জমা দিলেও খোকনের একাউন্টে কোনো টাকা না থাকার ওই চেকটি ডিজ অনার হয়।
এই ঘটনার পর ভুক্তভোগী মতিউর রহমান টাকা উদ্ধারে গত ০৭/০৯/১৯ ইং তারিখে খোকনের নামে ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কালীগঞ্জ আমলী আদালতে মামলা করেন। মামলা নং কালী-সিআর/১৯/৩৫০। বর্তমানে এই মামলার ওয়ারেন্ট সহ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
মতিউর আরো জানান, ওই প্রতারক খোকন ঝিনাইদহ ও কালীগঞ্জের একাধিক মানুষের কাছ থেকে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা হাতিয়েছে। সে একজন ঠক ও প্রতারক। নানা ফন্দি ফিকির করে সে প্রতিনিয়ত নিরীহ মানুষের সর্ব্বশান্ত করছে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত খোকন মিয়ার মুঠোফোনে সে গাড়ি কিনে দেবার কথা বলে টাকা নেবার কথা স্বীকার করলেও ১ সপ্তাহের মধ্যে ওই টাকা ফেরত দিবেন বলে জানায়।