একমাত্র বোনের বিয়ের বাজার নিয়ে জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের উত্তর শিহিপাশা গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম রবিউল ইসলাম। পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় রবিউল নিহত হন। ফলে বিয়ে বাড়িতে আনন্দের পরির্বতে এখন শোকের মাতম চলছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের দরিদ্র ভ্যানচালক লোকমান সরদারের একমাত্র কন্যা সোনিয়ার বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল (১০ জানুয়ারি) শুক্রবার। পরিবারের একমাত্র উর্পাজনক্ষম লোকমানের বড় পুত্র রবিউল ঢাকা থেকে বোনের বিয়ের বাজার নিয়ে বুধবার বিকেলে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় বুধবার রাতে এসএ ট্রাভেলস নামের যাত্রীবাহী বাস রবিউলকে বহনকারী মাইক্রোবাসকে স্বজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের যাত্রী আগৈলঝাড়ার শিহিপাশা গ্রামের রবিউল সরদার (৩৪) ও অপর যাত্রী একই উপজেলার পতিহার গ্রামের হাফিজুল গোমস্তার পুত্র শাকিল গোমস্তা (২৮) নিহত হন। ওই দুর্ঘটনায় সিলেট জেলা সদরের লন্ডনী রোডের বাসিন্দা মুন্না খান (২৭) ও সরকারী গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জয় বাড়ৈ গুরুত্বর আহত হয়। আগৈলঝাড়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি আহত মুন্না খান উপজেলার রাহুতপাড়া গ্রামের বিশ্বনাথ কির্ত্তুনীয়ার পুত্র তার বন্ধু বাড়িতে বেড়াতে আসছিলেন। ছাত্রলীগ নেতা জয় বাড়ৈকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার আগারগাঁও ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরি সাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার রবিউলের লাশ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে শোকে স্তব্ধ হয়ে যায় বিয়ে বাড়িসহ পুরো এলাকা।