উচ্চতা নিয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আপত্তি অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হওয়ায় সেতু নির্মাণে আর কোনো জটিলতা থাকছে না। ফলে প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ থাকা জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রাঙামাটি নদীর গোমা সেতুর নির্মাণ কাজ খুবশীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-দিনারেরপুল-লক্ষীপাশা-দুমকি আঞ্চলিক সড়কের রাঙামাটি নদীতে ২৮৩ দশমিক ১৮৮ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতু নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এ সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। নির্মাণাধীন গোমা সেতুর উচ্চতা নির্ধারণ করা হয় সর্বোচ্চ জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা থেকে সাত দশমিক ৬২ মিটার। নদীতে নির্বিঘেœ নৌযান চলাচল করার জন্য সেতু নির্মাণ শুরুর আগে বিআইডব্লিউটিএ’র দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী এই উচ্চতা রাখা হয়।
পরবর্তীতে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে যখন সবগুলো পিলার স্থাপন করা হয় তখন বিআইডব্লিউটিএ নতুন করে জানায়, সেতুর উচ্চতা ১২ দশমিক দুই মিটার করার কথা। এমন সিদ্ধান্তে প্রায় ছয় মাস ধরে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ গত ২৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় এবং বিআইডব্লিউটিএ’র আপত্তি অগ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়। তবে আন্তঃমন্ত্রাণালয়ের ওইসভায় নতুন করে কোনো সেতু নির্মাণের ক্ষেত্রে উচ্চতা নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র সাথে সমন্বয় করে নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাসুদ খান বলেন, অতিসম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশে বিভিন্ন নদীতে যে উচ্চতায় সেতু নির্মিত হচ্ছে, রাঙামাটি নদীর উপর গোমা সেতুও একই উচ্চতায় নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত হয়। আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্তের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর পরই সেতুর কাজ আবারও শুরু করে আগামি ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেতু নির্মাণে ডিজাইন করার আগে কতোটুকু উচ্চতা থাকলে এর নিচ দিয়ে নির্বিঘেœ নৌযান চলাচল করতে পারবে সে বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র মতামত নেওয়া হয়। একইভাবে মতামত নিয়ে গোমা সেতুর নির্মাণ শুরু হলেও বিআইডব্লিউটিএ নতুন করে আপত্তি তোলে। তাদের এই দাবি মানতে হলে সবকিছু আবার নতুন করে শুরু করতে হতো। যাতে কয়েক কোটি টাকা আর্থিক লোকসান হতো।