বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়লেন সের্হিও আগুয়েরো। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি জোড়া গোল করলেন রিয়াদ মাহরেজ। জালের দেখা পেলেন ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল জেসুসও। দাপুটে পারফরম্যান্সে অ্যাস্টন ভিলাকে উড়িয়ে দিল ম্যানচেস্টার সিটি। প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার ৬-১ গোলের বড় জয় পায় পেপ গুয়ার্দিওলার দল। বিরতির আগে চার গোল করা সিটি দ্বিতীয়ার্ধে করে আরও দুই গোল। যোগ করা সময়ে একমাত্র গোলের দেখা পায় অ্যাস্টন। আর্সেনাল কিংবদন্তি থিয়েরি অঁরির ১৭৫ গোল ছিল প্রিমিয়ার লিগে কোনো বিদেশির সর্বোচ্চ। ১৭৪ গোল নিয়ে ম্যাচ শুরু করা আগুয়েরো উঠে এসেছেন প্রতিযোগিতায় সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় যৌথভাবে চারে। তার সমান ১৭৭টি গোল আছে চেলসির বর্তমান কোচ ও সাবেক মিডফিল্ডার ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডেরও। ২৬০ গোল নিয়ে সবার ওপরে অ্যালান শিয়েরার। তালিকার দুইয়ে থাকা ওয়েইন রুনির গোল ২০৮টি। তিনে থাকা অ্যান্ডি কোলের গোল ১৮৭টি। তবে এই হ্যাটট্রিকে এক জায়গায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন আগুয়েরো। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি হ্যাটট্রিক নেই আর কারো। ১১টি হ্যাটট্রিক করা শিয়েরারকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। আগুয়েরো হ্যাটট্রিক ১২টি। চলতি মৌসুমে লিগে ১১ গোল করা রাহিম স্টার্লিংকে বেঞ্চে রেখে একাদশ সাজান গুয়ার্দিওলা। জেসুস-আগুয়েরো জুটি শুরু থেকেই চাপ তৈরি করে প্রতিপক্ষের রক্ষণে। অষ্টাদশ মিনিটে মাহরেজের নৈপুণ্যে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। ডান প্রান্ত দিয়ে দ্রুত বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন আলজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ড। ছয় মিনিট পর ব্যবধান বাড়ান মাহরেজ। রক্ষণের ভুলে ফাঁকায় ডি-বক্সে পাওয়া বল সহজেই জালে জড়ান ২৮ বছর বয়সী ফুটবলার। ২৮তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে দারুণ শটে নিজের প্রথম গোলটি করেন আগুয়েরো। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান আরও বাড়ান জেসুস। ডান প্রান্ত দিয়ে কেভিন ডে ব্রুইনের বাড়ানো দুর্দান্ত ক্রসে পা ছুঁইয়ে বল জালে জড়ান ব্রাজিলের ফরোয়ার্ড। ৫৮তম মিনিটে অঁরিকে ছাড়িয়ে যান আগুয়েরো। দাভিদ সিলভার পাস থেকে বল পেয়ে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ৩১ বছর বয়সী তারকা। আর ৮১তম মিনিটে রিয়াদ মাহরেজের থ্রু পাস পেয়ে লিগে নিজের দ্বাদশ হ্যাটট্রিক পূরণ করেন আগুয়েরো। যোগ করা সময়ে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমায় অ্যাস্টন। এই জয়ে লেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলে টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে সিটি। ২২ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট লিগ চ্যাম্পিয়নদের। সমান ম্যাচে লেস্টারের পয়েন্ট ৪৫। এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুল ৬১ পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।