মুলাদীতে কুড়িয়ে পাওয়া আতশবাজি পোড়াতে গিয়ে হাচান নামের ৮ বছরের এক শিশু মারাতœক আহত হয়েছে। গত সোমবার রাত ৮টার দিকে মুলাদী সরকারি কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে আতশবাজির উৎসবের পরিত্যাক্ত আতশবাজি অপসারণ না করায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবী করেছেন আহত শিশুর পরিবার। জানাগেছে গত ১১ জানুয়ারি রাতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ শ্লোগানে মুলাদী উপজেলা প্রশাসন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান পালন শেষে রাতে মুলাদী সরকারি কলেজ মাঠে আতশবাজির উৎসব করে। ওই সময় অনেক আতশবাজি সম্পূর্ণ বিস্ফোরিত না হয়ে পরিত্যাক্ত অবস্থায় মাঠের মধ্যে পড়ে থাকে। গত ১৪ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে মুলাদী পৌর সদরের আশরাফ মল্লিকের ছেলে হাচান কলেজ মাঠের মধ্যে একটি আতশবাজি কুড়িয়ে পায়। পরে সে আতশবাজিটি আগুন পোহানোর জন্য জ্বালানো আগুনের মধ্যে ধরলে মুহুর্তের মধ্যেই আতশবাজিটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় এবং শিশুর হাচানের ডান হাতের অধিকাংশ পুড়ে যায়। পাশে ব্যাডমিন্টন খেলতে থাকা খেলোয়াররা শিশু হাচানকে উদ্ধার করে মুলাদী হাসপাতালে নিয়ে আসলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশু হাচান তার পিতার কাছে জানায় মুলাদী কলেজ মাঠে সে একটি কাগজ কুড়িয়ে পায় এবং বাচ্চাদের জ্বালানো আগুনের মধ্যে পোড়ানোর জন্য ধরলেই বিস্ফোরিত হয়। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভ্রা দাসের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। মুলাদী থানা অফিসার ইনচার্জ ফয়েজ উদ্দীন মৃধা জানান উপজেলা প্রশাসনের আতশবাজির উৎসবে পরিত্যাক্ত আতশবাজি সমূহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নিস্ক্রিয় করে দিয়েছিলো। কোনো অবস্থাতেই পরিত্যাক্ত আতশবাজি থাকতে পারে না। তবুও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।