ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জাহিদুল ইসলাম ও স্থানীয় ক্লিনিক মালিক আজাদ হোসেনসহ চারজনের নামে ধর্ষণ ও সহায়তাকারী হিসাবে মামলা করেছেন স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারী (৩৫)।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা রাতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই নারী। তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত কোনো বক্তব্য না দিলেও মামলার বিস্তারিত ফটোকপি সাংবাদিকদের হাতে তুলে দেন। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো উত্তর দেননি। সংবাদ সম্মেলনে ওই নারীর সাথে তার নিকটাত্মীয় কেউ ছিলেন না।
মামলার এজাহারে বলা হয় , স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মহেশপুর উপজেলার একটি গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা ওই নারী দুবাইয়ে থাকতেন। সেখান থেকে ফেরার পর কোটচাঁদপুর হাসপাতাল গেটের অবস্থিত নার্সিং হোমের মালিক আজাদ হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ২১ শে ফেব্রুয়ারী কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম, ওই ক্লিনিকের নার্স রুমা এবং আয়া গোলবানু সহযোগিতায় ওই ক্লিনিক মালিক আজাদ হোসেন সাথে ওই নারীর বিয়ের নাটক সাজায়। যা ওই নারী বুঝতে পারেননি। এরপর থেকে তারা স্বামী স্ত্রী হিসাবে ক্লিনিকে বসবাস করে আসছিলেন। এরইমধ্যে ক্লিনিক মালিক আজাদ হোসেন ক্লিনিকের পাটনার দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ওই নারীর কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন । মামলার বিবরণে বলা হয়- গত বছরের ২৬ আগস্ট বিকেলে ক্লিনিক মালিক আজাদের বাসায় নিয়ে আজাদ , নার্স রুমা এবং আয়া গোলবানু’র সহায়তায় পৌর মেয়র ওই মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এঘটনা প্রচার হয়ে যাওয়ার ভয়ে তারা তাকে মারধোর করে একটি গাড়ীতে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
ঘটনার ৪মাস পর ০১/০১/২০২০ তারিখে আদালতে ক্লিনিক মালিক আজাদ হোসেন, পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম, নার্স রুমা এবং আয়া গোলবানু কে আসামি করে ঝিনাইদাহ জেলা দায়রা জজ আদালতে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করেন। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে কোটচাঁদপুর থানাকে মামলা হিসাবে নথিভূক্ত করার নির্দেশ দেন।
এদিকে পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমি ওই নারীকে চিনিনা । তা ছাড়া আজাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নাই । কোটচাঁদপুর পৌর শহরের মানুষ কেউ কখনো বলতে পারবেনা আমি কখনো ওই ক্লিনিকে পা রেখেছি। বা আজাদের বাড়ী’র প্রতিবেশীরা কেউ কখনো বলতে পারবেনা আমি কখনো আজাদের বাড়ীতে গেছি। তিনি বলেন- বিগত নির্বাচনে পরাজিত হয়ে আমার প্রতিপক্ষরা ওই নারীকে দিয়ে মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করেছে।