আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক ,আধুনিক বাংলা সাহিত্যের রুপকার ---মহাকবি মাইকেল মধূসূদন দত্তের ১৯৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবধানে আধুনিক রুপে সাজগোজের কাজ চলছে সাগরদাঁড়ি মধুমেলার মাঠ। বৃহস্পতিবার দুপুরে মহাকবির জন্মস্থান কপেতাক্ষ নদ তীরে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী মধূ জন্মোৎসব ও মধূমেলার প্রাথমিক প্রস্তুতি ও মেলার মাঠের স্টল পরিদর্শন করেন মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও যশোরের জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ।
এ সময় তার সাথে ছিলেন ,মেলা উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ও কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান,সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজি মুস্তফিজুল ইসলাম মুক্ত। আগামি ২২ জানুয়ারি বুধবার থেকে শুরু হবে ৭ দিন ব্যাপী মধুমেলা। মেলা শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি । এবছর সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে মেলার ইজারা দেওয়া হয়নি। যার কারণে মেলা উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহানের কার্যালয় থেকে ও ১২ জানুয়ারি বিকেলে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে বিভিন্ন স্টল মালিকরা ডাকের মাধ্যমে মধুমেলার মাঠে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২২ জানুয়ারি মেলা উদ্ধোধনের পর সন্ধ্যায় মধুমঞ্চে অতিথিদের আলোচনা সভা শেষে মধু মঞ্চে নাটক, যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন থেকেই প্রতিদিনই মধুমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে কবির জীবনী স¤পর্কিত আলোচনা সভা। মধুসূদনের সৃষ্টি, সাহিত্য ও কর্মজীবনের উপর বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেবেন দেশের খ্যাতিনামা কবি, সাহিত্যিক, প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, জন প্রতিনিধিসহ সাংবাদিকবৃন্দরা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। আলোচনা সভা শেষে বিভিন্ন দলগত সংগীতানুষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের খ্যাতিমান কণ্ঠ শিল্পীরা এখানে সংগীত পরিবেষণ করবেন। প্রতিবারের ন্যায় মেলায় আগতদের মাঝে মেলা আকর্ষণীয় করে তুলতে মেলার উন্মুক্ত মঞ্চে কবিতা আবৃতি, নাটক, যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া মেলার মাঠে আনন্দ উপভোগের জন্য সার্কাস, ই›িজন ট্রেন, মৃত্যুকুপ, নাগোরদোলা, জাদু প্রদর্শনী, কৌতুকসহ বিভিন্ন বিনোদনের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া মেলার মাঠে বসবে নানা ধরনের আকর্ষনীয় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মধুমেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ মধুমেলা অশ¬ীলতামুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। মধুমেলাতে সব কিছু শালীনতার মধ্য দিয়ে উপস্থাপন করার জন্য কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান । সকালে জেলা প্রশাসক কেশবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বোরো ধান আবাদে বদ্ধ বিলের পানি নিষ্কাশনে স্থানীয় জনগণের সাথে মতবিনিময় করেন্ ।