নীলফামারীর ডিমলায় তালিকাভুক্ত রাজাকারের ছোটভাই আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ায় এলাকায় সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মিদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানাগেছে, প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে বিভিন্ন দল থেকে অনুপ্রবেশ করে আ.লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা কারীদের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করে দলের স্বচ্ছতা ও দুর্নীতিমুক্ত দল এবং দেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এবং আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক কোনো রাজাকার পরিবারের সন্তান বা আতœীয় যাতে আওয়ামী লীগের কোনো প্রকার পদ পদবীতে আসতে না পারে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ডিমলা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কতৃক রাজাকারের নাউতারা ইউনিয়নের তালিকায় ৩৩ নং সিরিয়ালে আকাশকুড়ি গ্রামের মৃত জসিম উদ্দিনের বড় ছেলে মহসীন আলীর নাম আসে। অপর দিকে মহসীন আলীর ছোটভাই সোহরাব হোসেন খালিশাচাপানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
খালিশাচাপানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল জলিল সরকারসহ দলের একাধিক নেতাকর্মি স্বাক্ষরিত খালিশা চাপানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তালিকাভুক্ত রাজাকার মহসীন আলীর ছোটভাই সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে ডিমলা উপজেলা আওয়ামীলীগ, নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীগে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। দলীয় একাধিক নেতাকর্মি অভিযোগ করে বলেন, ২০১৩ ইং সালে জামায়াত বিএনপি কতৃক খালিশাচাপানী আওয়ামী লীগ অফিসের আসবাব পত্র, টিনের বেড়া, অফিস, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করা হলে খালিশা চাপানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ২৬/০৫/২০১৩ইং ৪৭জনকে আসামি করে ডিমলা থানায় মামলা দায়ের করেন। এবং পরবর্তীতে এজাহার ভুক্ত ২১ জন আসামীর নিকট মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ২১ জন আসামীর নাম বাদ দিয়ে ২৬ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করান। পরবর্তীতে আবারো ২৬ জন আসামীর নিকট মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আদালতে মিথ্যা স্বাক্ষী প্রদান করে জিআর-৫৬/২০১৩(ডিমলা) মামলাটি খারিজ করেন। এবং খালিশা চাপানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিল উপলক্ষে অত্র ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ড কমিটি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী না করে নিজ খেয়ালখুশি অনুযায়ী বিএনপি ও জামায়াত থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি সম্পাদক নির্বাচিত করায়। এলাকার সাধারণ মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মিদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে। খালিশাচাপানী আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মিগণ পূর্বেও কমিটি বাতিল করে পুনঃরায় ওয়ার্ড কমিটি ও ইউনিয়ন কমিটি গঠনের দাবি করেন। এ বিষয়ে সোহরাব হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা তবে রাজাকারের তালিকায় তার ভাইয়ের নাম আসার বিষয়টি তিনি স্বীকার করে বলেন, রাজাকারের তালিকায় আমার ভাইয়ের নাম এসেছে বাবার নামতো আসেনি। আমি তা হলে কীভাবে রাজাকার পরিবারের সন্তান হলাম। ডিমলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালিশাচাপানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সোহরাব হোসেন সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরে তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।