৫০ হাজার টাকা না দিলে নান্টু দাস কে মেরে ফেলা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নান্টুর ছোট ভাই নিপেনের ০১৮৭৫৪৪৩১৭৪ নং মোবাইলে ফোন দিয়ে সন্ত্রাসীরা ওই চাঁদা দাবি করেন। অপহরনকারীরা ফোনে আরো বলে পুলিশ বা কাউকে জানালে তোর ভাইকে মেরে ফেলা হবে। এ ভয়ে নৃপেন বিকাশের মাধ্যমে ওই সন্ত্রাসীর বিকাশ নাম্বারে ৪ হাজার টাকাও পাঠিয়েছেন। আর বাকি টাকা দিয়ে শুক্রবার সকাল ৮ টার পর মাগুরার নাঙ্গলবাধ স্কুল এলাকা থেকে তোর ভাই নান্টুকে নিয়ে যাবি বলে জানায়। উল্লেখ্য, প্রায় দেড়মাস আগে কালীগঞ্জ শহরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের নিপেন দাসের ছেলে রিস্কা চালক নান্টু দাস (৩৫) নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় গত ১১ ডিসেম্বর তার পিতা নৃপেন দাস কালীগঞ্জ থানাতে একটি জিডি করে।
শুক্রবার সন্ধ্যার পর সাংবাদিকদের অফিসে এসে অপহৃত নান্টু দাসের ভাই নৃপেন দাস জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে ০১৩০৬-৬৯৫১১৭ নং মোবাইল থেকে তার মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে পরিচয় না দিয়ে বলে তোর ভাই নান্টু দাস আমাদের হাতে আছে। ভাইকে জীবিত ফেরত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে তোর ভাইকে মেরে ফেলা হবে। একথা শুনে ভায়ের জীবনের কথা ভেবে বিকেলে সন্ত্রাসীর ওই বিকাশ নাম্বারে শহরের মুরগীহাটায় এক বিকাশের দোকান থেকে ২ হাজার ও বিকেলে ভ’সিমাল হাঁটা থেকে আরো ২ হাজার টাকা পাঠায়। এরপরও বাকি টাকা দিয়েই শুক্রবার সকালে নাঙ্গলবাধ স্কুল এলাকা থেকে তার ভাইকে নিয়ে যেতে বলে। শুক্রবার সকালে সন্ত্রাসীর ওই নম্বরে ফোন দিলে মোবাইলটি বন্ধ পায়। সেই থেকেই ওই মোবাইলটি বন্ধ রয়েছে। এদিকে সন্ত্রাসী অপহরনকারী চক্রের থেকে এমন চাঁদা দাবীর খবরে নান্টুর পরিবারে কান্নার রোল পড়ে গেছে। সন্ত্রাসীদের মৃত্যু ভয়ের হুমকিতে পরিবারটি শংকার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচাজ মাহফুজুর রহমান জানান, কোনো ফট টাউট চক্রের সদস্যরা এমন কাজ ঘটাতে পারে। নান্টুকে উদ্ধার সহ চক্রটিকে ধরতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।