একটি জাতি গঠনে বিদ্যার (শিক্ষার) বিকল্প নেই, কথাটি বিশ্ব জুড়ে স্বীকৃত। এই বিশ্বাসকে মনে প্রাণে ধারন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা, জ্ঞান, বিদ্যা-বুদ্ধি লাভের উদ্দেশ্যে সরস্বতী’র পূজা করে থাকেন। পূজা চলে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর বাসা বাড়িতে। চলতি মাসের ২৯ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা। পূজাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছে কালীগঞ্জের প্রতিমা কারিগররা। চাহিদা মত প্রতিমা নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ করতে দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।
কালীগঞ্জের কলেজপাড়া ও নিশ্চিন্তুপর মন্দিরে ও বাসা বাড়িতে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। অনেক স্থানে প্রতিমা তৈরির প্রাথমিক কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে শেষ পর্যায়ের দো-মাটির কাজ। এক সপ্তাহ পর থেকেই শুরু হবে রঙের কাজ।
সাধারনত কারিগররা বিভিন্ন মন্দিরে কারখানা করে প্রতিমা তৈরি করে থাকে। পরে এগুলো তৈরি ও বিক্রি করা হয় অর্ডার অনুসারে। পূজা সামনে রেখে পছন্দমত প্রতিমা কিনতে অগ্রিম অর্ডার সেরে নিচ্ছেন অনেকেই।
মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিকাশ কুমার ও ছন্দা মুখার্জি বলেন, স্কুলের জন্য ১৫শ’ টাকা দিয়ে একটা প্রতিমার অর্ডার দিয়েছেন। আগে এসেছি যাতে ভালো জিনিসটা পায়। তবে গত বছরের তুলনায় দাম একটু বেশী। উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে স্বরসতী পুজা অনুষ্ঠিত হবে।
কারিগর সুজন কুমার পাল জানান, এবার প্রায় দেড় মাস যাবৎ কাজ করে ১০১ টি সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করেছি। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটির অগ্রিম অর্ডার শেষ হয়েছে। প্রতিটি প্রতিমা বিক্রি করা হচ্ছে ছোট-বড় প্রকার ভেদে ছয়শত থেকে পনেরো হাজার টাকা দরে। এতে সব খরচ খরচা বাদ দিয়ে দুইশত থেকে দুই হাজার টাকা লাভ থাকে। অপর কারিগর পলাশ কুমার জানান, এই সময় লাভ কিছুটা বেশী হলেও আমাদের খরচও বেশী। কারন প্রতিমা তৈরিতে যে বিচালী, সুতুলি, পাট, মাটি লাগে তার দামও এবছর বেড়েছে। ফলে প্রতিমার দামও একটু বেশী নিতে হচ্ছে। প্রতিমা কারিগরদের সাথে কাজ করে বাড়তি আয় করতে পারছেন অনেক শ্রমিক। এমন একজন দুর্জয় পাল বলেন, এসময় বাড়তি আয় হয়। প্রতিদিন ছয় শ’ টাকা পারিশ্রমিক পায়।