সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের হুগলিপাড়া একরামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে পাঠদান ও শ্রম ফাঁকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৯ জানুয়ারি সরজমিনে ওই প্রতিষ্ঠানে গেলে আশপাশের লোকজন এবং মাদ্রাসার সুপার বরিজ উদ্দিন ওই অভিযোগ তোলেন। সুপার বলেন, ১৯৭৩ সালে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা হয়। এরপর ২০০২ সালে এটির অবকাঠামোগত সংস্কার হয়। গত ২০১৯ সালের ২ জুলাই মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ মাদ্রাসার শিক্ষা বোর্ড। এরপর কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ১০ জুলাই। পরবর্তীতে ওই বছরের ১৮ ও ২৮ জুলাই সভা ডাকা হয়। কিন্তু দুই সভায় সভাপতি কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই অনুপস্থিত থাকেন। এরপর আবার ওই বছরের ২৭ আগস্ট সভা ডাকা হলে ওই সভাতেও তিনি অনুপস্থিত থাকেন। ৩টি সভায় সভাপতি অনুপস্থিত থাকায় বিধি ২০০৯ এর ১১নং প্রবিধান এর উপ-প্রবিধান ঙ অনুযায়ী তার সভাপতি পদ সংক্রিয়ভাবে বিলপ্তি হয়ে যায়। কিন্তু মানবিক দিক বিবেচনা করে গত ৪ সেপ্টেম্বর আগস্ট মাসের শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা সরকারি অর্থের বিলে সভাপতির প্রতিস্বাক্ষর নেয়ার জন্য অফিস সহকারী মামুন-উর-রশিদ সভাপতির কাছে গেলে তিনি স্বাক্ষর না করে তাকে ফিরিয়ে দেন। ফলে বেতন-ভাতা ব্যাংকে আটকা পড়ে যায়। পরবর্তীতে আমি নিজে সভাপতির সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাতেও কোনো সুফল হয়নি। নিরুপায় হয়ে গত ১৩ সেপ্টেম্বর জরুরি সভা আহ্বান করে প্রবিধান ৩৫ এর উপপ্রবিধান ২ অনুযায়ী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সভাপতি ফজলুল হক এর বিরুদ্ধে ১৩ দফা অভিযোগসহ তার পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। এ বিষয়টি চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য প্রবিধান ৩৮ এর ১ উপ-প্রবিধান ২ এবং উপ-প্রবিধান ১ অনুযায়ী গত ২১ সেপ্টেম্বর রেজিষ্টার মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বরাবর পাঠানো হয়। যা বর্তমানে বোর্ডে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। যার কারণে সভাপতির স্বাক্ষর না হওয়ায় গত আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ মাসের বেতন-ভাতা ব্যাংকে আটকা পড়ে। কিন্তু মাদ্রাসা সহকারী শিক্ষক এনামুল হক, মাহমুদুল হাসান, মতিয়ার রহমান, মৌলভী শিক্ষক আসাদুজ্জামান, সাদেকুল ইসলাম, আবুল কালাম, হাফিজুর রহমান, তবারক আলী, অফিস সহকারী মামুন-উর-রশিদ এবং নৈশ্য প্রহরী জোবায়দুল হক আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। এতে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন মৌলভী শিক্ষক আবুল কালাম ও হাফিজুর রহমান। তারা সভাপতিকে দায়ী না করে আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। মাদ্রাসায় পাঠদান ফাঁকি দিয়ে তারা বাইরে গিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিষদগার করছে। এ ব্যাপারে অভিযোগযুক্ত শিক্ষক আবুল কালামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমাদের বেতন-ভাতা জোরপূর্বক আটক করে রেখেছে মাদ্রাসা সুপার। আমরা কোনো কিছু বলতে গেলে আমাদেরকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়।