রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় কথিত সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় দুই সংবাদিককে গণধোলায় দিয়েছে কৃষক। নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে পরে পুলিশের হাতে তুলে দিলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইমরানুল হক তাদের মুচলেকা নিয়ে ছাড় দেয়।
মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পাওয়া সাংবাদিকরা হলেন, দৈনিক মুক্তি পত্রিকার রাজশাহী প্রতিনিধি দাবিকরা সাংবাদিক বাসুদেবপুর গ্রামের জুলফিকার আলীর ছেলে সুফিয়ান স্বাধীন (২৮) ও দৈনিক প্রথম ভোর পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি দাবিকরা সাংবাদিক চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর উপজেলার শরিফুল ইসলামের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন (৩৫)।
এদিকে স্থানীয় জনতার উত্তেজিত অবস্থা বুঝতে পেরে এশিয়ান টিভির চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ফয়সাল আজম অপু ও দৈনিক উপচার পত্রিকার প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল হতে কৌশলে পালিয়ে যায়।
হাটপাড়া ভগবন্তপুর গ্রামের কৃষক আশারাফুল জানান, বুধবার দুপুর বারোটার দিকে কয়েকজন সাংবাদিক গোদাগাড়ী সরকারি কলেজ মাঠ সংলগ্ন টমেটা শুকানো মাঠে এসে টমেটোতে বিষ মেশানো হচ্ছে বলে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। কৃষকগণ তাদের বুঝিয়ে বলে এটি চারবার পরীক্ষা করা হয়েছে কোনো ক্ষতিকর পদার্থ নেই। সবশেষ খাদ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগে গোদাগাড়ীর টমেটা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠালে সেখানেও রিপোর্ট আসে মিশ্রিত ক্যামিকেল দিয়ে টমেটো পাকানো হলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর কিছুই নাই। একপর্যায়ে তারা মোটা অংকের চাঁদাদাবি করলে কৃষকরা তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে এসব সাংবাদিকরা কৃষকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। এতে কৃষকরা ক্ষুদ্ধ হয়ে তাদের ধরে ফেলে কিল, ঘুষি মেরে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম, গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইমরানুল হক পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কৃষকদের নিকট অভিযোগ শোনেন।
এই অবস্থায় আটককৃত কতিথ সাংবাদিকরা তাদের নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে কৃষকদের নিকট হাত জোর করে ক্ষমা চাই ।
পরে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ইমরানুল হক তাদের নিকট হতে এই ধরনের ঘুষ ও চাঁদাবাজি করবে না মর্মে এবং পরবর্তীতে এসব করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে মুচলেকা নিয়ে তাদের ছাড় দেয়।