বৈরী আবহাওয়া ও ঘন কুয়াশাসহ শীতের কারণে দিনাজপুর অঞ্চলে বোরো বীজতলা রক্ষায় পলিথিনের ব্যবহার বেড়েছে। সন্ধার পর ও সকালে ঘন কুয়াশার স্থায়ীত্ব বেশি হওয়ায় বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। ঘন কুয়াশার কারণে যাতে বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য কৃষি বিভাগ বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা দিয়েছে।
বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় জমি তৈরিসহ বোরো ধানের বীজতলা তৈরির ধুম পড়েছে। কিন্তু প্রকৃতির বিরুপ প্রভাবে শঙ্কা কাটছে না কৃষকের। তাই বীজতলা রক্ষায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন চাষিরা। বীজতলা রক্ষায় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী ছত্রাকনাশক স্প্রে করে ও পলিথিনে ঢেকে চারা রক্ষার চেষ্টা করছেন চাষিরা।
চিরিরবন্দরের সাইতাড়া ইউপির কৃষক জয়নাল আবেদিন জানান, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তিনি ৬০ কেজি বীজের বীজতলা করেছেন। এখন ওই চারা জমিতে রোপনের সময় হয়ে আসছে। কয়েকদিন আগে এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঠান্ডা ও শৈত্যপ্রবাহে কিছু চারা নষ্ট হয়েছে। গতকাল বুধবার থেকে আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। এমধ্যে গত দুইদিন ধরে তীব্র কুয়াশা থাকায় তিনি চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। তবে কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে তিনি সকাল-সন্ধ্যায় পলিথিন দিয়ে বীজতলা ঢেকে রাখছেন।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষিবিদ মো. মাহমুদুল হাসান জানান, বৈরী আবহাওয়ার হাত থেকে বীজতলা রক্ষায় কৃষকদের বিভিন্ন প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বীজতলা রক্ষায় পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা, আক্রান্ত বীজতলা পানি দিয়ে কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখা এবং প্রয়োজনে চারার মধ্যে জমে থাকা শিশির শক্ত কিছু দিয়ে ফেলে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। চলতি বোরো মৌসুমে চিরিরবন্দর উপজেলায় ১ হাজার ৩১ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।