রংপুর সদর উপজেলার পাগলাপীরে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী প্রভাবশালী এক তামাক ব্যবসায়ির ছেলে যুবক বুলবুল ইসলাম স¤্রাটের বিরুদ্ধে। তারা সম্পর্কে চাচা ও ভাতিজি। এ ঘটনায় মামলা হলেও গ্রেপ্তার হয়নি অভিযুক্ত স¤্রাট। অভিযুক্ত প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি সমঝোতারও চেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশ ও মামলা সূত্রে প্রকাশ, পাগলাপীরের মুলাপাড়ায় সোমবার বিকেলে নিজ বাড়ির সামনে খেলছিল হতদরিদ্র ভ্যান চালক মাসুদ মিয়ার আট বছরের ওই শিশু। এ সময় শিশুটির হাতে ১০ টাকা দিয়ে পাশের বাড়ির তামাক ব্যবসায়ী কেচু মিয়ার ছেলে বুলবুল ইসলাম ওরফে স¤্রাট শিশুটিকে ৫ টাকা দিয়ে চকলেট ও ৫ টাকা দিয়ে সিগারেট কিনে নিয়ে একটি পরিত্যক্ত ঘরে আসতে বলে। শিশুটি তার কথামতো চকলেট ও সিগেরেট কিনে সেখানে আসলে তার ওপর যৌন নির্যাতন চালায় স¤্রাট। মেয়েটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে স¤্রাট পালিয়ে যায়। এ ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত জব্দ করে। পরে শিশুটির মা রুবি বেগম বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় নি।
শিশুটির দাদি মাসুমা জানান, আমার নাতির ক্ষতি করেছে সে। যেহেতু এটা নিজেদের মধ্যে, তাই আমরা মীমাংসা করতে চাইছি। গ্রামে বিচার দিয়েছি। দেখি গ্রামের বিচারে কি হয়। যদি উচিত বিচার না পাই তা হলে আমরা যেখানে যাওয়ার দরকার সেখানে যাবো।
এদিকে অভিযুক্ত স¤্রাটের বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায় নি। তবে বাড়ি থেকে বোন পরিচয়ে এক নারী কোনো কথা বলতে চাননি। জানা গেছে, অভিযুক্ত স¤্রাটের পিতা প্রভাবশালী হওয়ায় যেকোনভাবে চাপ প্রয়োগ করে ঘটনাটিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে সদর কোতোয়ালি থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযান চলছে স¤্রাটকে গ্রেফতারের জন্য। এ ব্যাপারে রংপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, শিশু ধর্ষণ চেস্টার ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। আমরা মামলাটি নিয়ে আসামীকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালাচ্ছি। এছাড়াও শিশুটিকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে কাউন্সিলিং করা হচ্ছে। যদি কেউ শিশুটির পরিবারের ওপর ধরনের চাপ কিংবা ভয়ভীতি দেখায় সেটিও আমরা নজর রাখছি। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।