কলাপাড়ায় প্রতিবন্ধী সোবাহান মৃধাকে কুপিয়ে জখম মামলার আসামি জাকির হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে সোবাহানের পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এ মামলা থেকে বাঁচতে জাকির ও তার সহযোগীরা সোবাহানকে কোপানোর ঘটনায় পিতা সুলতান মৃধা ও চাচা মোশাররফ মৃধার উপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
লিখিত বক্তব্যে মোশাররফ মৃধা বলেন, এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও প্রতারক জাকির হোসেন হাওলাদার সোবাহানকে কুপিয়ে জখম মামলার ছয় নং আসামী। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে সুলতান মৃধার ঘর পোড়ানোর মামলা, মনষাতলী গ্রামের রমণী কান্তের ঘেরের মাছ চুরি ও ঢাকা জজ কোটে একটি চাঁদাবাজী মামলা চলৎ রয়েছে। তিনি বলেন, স্থানীয় ধুলাসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাত নং ওয়ার্ডে তৃনমূলের ভোটে সে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। এ নির্বাচনে তার প্রতিপক্ষের সমর্থক ছিলো জাকির। নির্বাচনে বিজয়ী হতে না পেরে তার বিরুদ্ধে জাকির বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে এমনকি তাকে সমুত্রে জলদস্যুতা ও ডাকাতির সাথে জড়িত বলে অভিযোগ এনেছে , যা সর্ম্পর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মোশাররফ মৃধা বলেন, স্থানীয় মতলেব মীরার সাথে ১০ একর ৪৪ শতাংশ জমি নিয়ে তার ভাই সুলতান মৃধার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। জাকির হোসেন এ জমি দখলের জন্য মতলেব মীরার পক্ষ নিয়ে আমার ভাইকে দুর্বল করতে রাতের আঁধারে প্রতিবন্ধী ভাতিজা সোবাহানকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় শহিদ মৃধা, জলিল মৃধা, কালাম মৃধা, বাবুল মৃধা, জাকির হোসেন হাওলাদার, মেনাজ সিকদার ও ফিরোজ সিকদারকে আসামি করা হয। এ মামলা থেকে বাঁচতে জাকির হোসেন এখন তাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে এখন ভাতিজাকে কোপানোর দায় তাদের উপর চাপানোর চেষ্টা করছে। অজ্ঞাত খুঁটির জোরে জাকির এখন এলাকায় আতঙ্কে পরিণত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত প্রেতিবন্ধী সোবাহান সোবাহান মৃধার পিতা সুলতান মৃধা ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এবং ছেলেকে কোপানোর মিথ্যা অভিযোগ আনার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।