জনকল্যানে সায়েরা-সুলতান ফাউন্ডেশনের মহতী উদ্যোগ ও অবদান অব্যাহত রেখেছে। লাকসাম-মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম গ্রামের শাহসুফী মাস্টার মো. সুলতান আহমদ মাইজভান্ডারী (রঃ) ও মিসেস সায়েরা খাতুন স্মরণে সায়েরা-সুলতান ফাউন্ডেশন রেজিঃ নং- এস ২৫২২/১১৫ তাং- ২০০১ইং সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী চেয়ারম্যান হলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সমাজসেবক ও দানবীর আলহাজ মো. আবুল বাশার। প্রতিষ্ঠার পর হতে আলহাজ মো. আবুল বাশার সায়েরা সুলতান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এলাকার গরীব, দুস্থ্য, বয়স্ক-বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন মানুষকে ঘর নির্মাণে ঢেউটিন, খাদ্য সামগ্রী প্রদান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ড্রেস ও বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। মনোহরগঞ্জ বাজারের ডাকাতিয়া নদীর পশ্চিমপাড়ে ঝলম গাউছিয়া মার্কেটের পাশে ৬ তলা বিশিষ্ট সায়েরা সুলতান ফাউন্ডেশন কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়। ঝলম গ্রামের মোল্লা বাড়ীর প্রধান ফটকে রয়েছে সায়েরা সুলতান মসজিদ, হেফজখানা ও ঈদগাহ মাঠ। মরহুম শাহসুফী মাস্টার মো. সুলতান আহমদ মাইজভান্ডারী (রঃ) ও তার স্ত্রী মিসেস সায়েরা খাতুন স্মরণে ঈদগাহ মাঠে প্রতিবছর হযরত খাজাবাবা মাইজ ভাণ্ডারী (রঃ) শরীফের ঔরস শরীফ অনুষ্ঠিত হয়। ঔরস শরীফে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাইজভান্ডারী শরীফের ভক্তরা অংশগ্রহণ করেন। ঈদগাহ মাঠের পাশে রয়েছে মরহুম শাহসুফী মাস্টার মো. সুলতান আহমদ মাইজভান্ডারী (রঃ) ও তার স্ত্রী মিসেস সায়েরা খাতুনের মাজার শরীফ। এ মাজার শরীফে মাইজভান্ডার শরীফের ভক্তরা ও এলাকার ধর্মীয় ব্যাক্তিত্বরা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করছে।
উল্লেখ্য ০৭ ভাই ০৫ বোনের মধ্যে আলহাজ মো. আবুল বাশার তৃতীয়। তার পিতা মরহুম সুলতান আহমদ মোল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন প্রধান শিক্ষক ও মাইজভান্ডার শরীফের খেলাফত পান এবং মাতা মরহুম ছায়েরা খাতুন একজন সু-গৃহিনী ও রতœগর্ভা মা ছিলেন। তার দ্বিতীয় ভাই একেএম জাহাঙ্গীর সাবেক যুগ্মসচিব এবং স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ঢাকা ইডেন মহিলা বিশ^বিদ্যলয় কলেজে গণিত বিভাগের সাবেক হেড ছিলেন। ৩য় ভাই আলহাজ¦ মো. আবুল বাশার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক মনোহরগঞ্জের ছায়েরা -সুলতান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং তার স্ত্রী মিসেস জাহানারা পারভীন সরকারি কর্মকর্তা। ৪র্থ ভাই ড. বাবুল হায়দার অর্থনীতিতে এমএ অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী। ছোট ভাই কামাল হোসেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের গত ১০ বছর ধরে ভাইস চেয়ারম্যান। ছোট বোন প্রফেসর রোশন আরা ঢাকা ইমপিরিয়াল কলেজ পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান ও জেসমিন আক্তার ব্যাংকার। আলহাজ মো. আবুল বাশার সায়েরা সুলতান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এলাকার গরীব, দুস্থ্য, বয়স্ক-বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ বিভিন্ন মানুষকে ঘর নির্মাণে ঢেউটিন, খাদ্য সামগ্রী প্রদান, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল ড্রেস ও বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।
সায়েরা সুলতান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী চেয়ারম্যান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক, দানবীর ঢাকা আল রাবেতা ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পার্টনার আলহাজ মো. আবুল বাশার বলেন আমি কোনো রাজনীতিক কর্মকান্ডের সাথে, কোনো দলের সাথে জড়িত নই। সায়েরা-সুলতান ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে একজন ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী হিসেবে লাকসাম-মনোহরগঞ্জে যতটুকু সম্ভব সমাজ উন্নয়ন কাজে জড়িত থেকে বেঁচে থাকতে চাই। সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডকে সমর্থন করি। আগামি দিনে যাতে বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলে, সেও প্রত্যাশা কামনা করি। তবে সরকারিভাবে সহযোগিতা প্রদান করা হলে জনকল্যাণে সায়েরা-সুলতান ফাউন্ডেশন আরো অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি ফাউন্ডেশনের কার্য্যক্রম অব্যাহত রাখতে বৃহত্তর লাকসাম-মনোহরগঞ্জবাসীর সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন। সায়েরা সুলতান ফাউন্ডেশনের অবদানে এলাকায় সুনাম ও সু-খ্যাতি বৃদ্ধি পেয়েছে।