বগুড়ায় কথা কাটাকাটির জের নিয়ে শায়েদ আহম্মেদ ওরফে শায়েদ (৩৬)নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্য দিনের বেলায় ছুরিকাঘাত ও কুপিয় খুন করলেন এলাকার ত্রাস ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ যুবলীগ নেতা রুবেল ও তার ক্যাডার বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার দুপুরে সদর এলাকায়। পুলিশ এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত ব্যবসায়ী শায়েদ সদরের নূনগোলা ইউনিয়নের আশোকোলা গ্রামের তোজাম উদ্দিনের ছেলে ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদরের নিশিন্দারা ইউনিয়নের দশঠিকা এলাকার ন্যাংড়াবাজার এলাকায় চুলকাটাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় জনি ও শান্ত নামের দু’জন যুবকের মধ্য বচসা ও হাতা হাতি হলে তাতে বাধা দেন নিহতের বড় ভাই জাফরুল । এসময় শান্তর নেতা হিসাবে ক্ষুব্ধ হন সেখানে থাকা নিশিন্দারা ইউনিয়ন যুবলীগের বহুল বিতর্কিত সভাপতি রুবেল। সে সময় তার নির্দেশে নিহতের বড় ভাই জাফরুলকে জোর করে প্রাইভেটে করে তুলে নিয়ে যায় রুবেল ও তার লোকজন। এসময় তাকে অনত্র নিয়ে গিয়ে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন চালিয়ে বেধড়ভাবে মারপিট করে অপহরনকারীরা ।
এ ঘটনার বেশ কিছু সময় পর মারপিটে আহত জাফরুলকে স্থানীয় একটি খড়ির দোকানের সামনে ফেলে যাবার সময় সেখানে আসে ছোট ভাই শায়েদ । ভাইকে বিনা কারনে মারপিট করার ঘটনায় এসময় রুবেলের কাছে প্রতিবাদ জানালে তার সাথে কথাকাটাকাটি হয় রুবেলের । এসময় ভিষন ভাবে ক্ষুব্ধ হন যুবলীগ নেতা রুবেল । ফলে তার নির্দেশে এবার শায়েদকে টেনে হিচরে অনত্র নিয়ে যায় রুবেলের ক্যাডার বাহিনী। সেখানে নিয়ে গিয়ে উপুযুপরি ভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুঁপিয়ে তাকে ছুরিকাঘাত করে রুবেল ও তার বাহিনীর লোকজন । পরে তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায় তারা ।
ঘটনার পর পর স্থানীয়রা মূমুর্ষ অবস্থায় শায়েদকে উদ্ধার করে নিকটবর্তি ঠেঙ্গামারা এলাকায় রফাতউল্লা মেডিকেল কলেজ (টিএমএসএস )হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে বেলা ২টার দিকে শায়েদ মারা যায় ।
এদিকে ঘটনার পর খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল এলাকায় অভিযান চালিয়ে পালিয়ে যাবার সময় হত্যাকান্ডের সাথে জরিত যুবলীগ নেতা রুবেলকে গ্রেপ্তার করে।তবে খুনি রুবেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে পুলিশ আনুষ্ঠানিক ভাবে স্বিকার করেনি । শেষ খবর পর্যন্ত নিহতের লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
উল্লেখ্য, নিশিন্দারা ইউনিয়নের এক জলজ্যান্ত বিভিশিখার নাম যুবলীগ সভাপতি রুবেল । সে ও তার বাহিনীর সদস্যরা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী হিসাবে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে দীর্ঘদিন যাবত । সে ও তার বাহিনীর অসহনীয় দখলবাজী ,অত্যাচার মারপিট অপরাধ কর্মকান্ড গোটা এলাকা সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রাখলেও এ বিষয়ে দেখার যেন কেউ নেই ।