পাথরঘাটা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পদ্মা এলাকার বলেশ্বর নদের চরে দশ মন ওজনের একটি শাপলাপাতা মাছ আটকা পরেছে। শক্রবার সকাল ৭টার সময় গ্রামবাসিরা মাছটি দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে পাথরঘাটা বিএফডিসি পাইকারি মাছ বাজারে প্রকাশে নিলামে বিক্রি করেন। ১৯ জন পাইকার এই নিলামে অংশ গ্রহন করে ফিস ষ্টোর মৎস্য আড়তের স্বত্তাধীকারী মোঃ রাজু ও আবু হানিফ ৬৩ হাজার টাকায় ক্রয় করেছেন। পরে বিকাল তিনটার সময় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি সাড়ে ৩শ টাকা দরে সাপলাপাতা মাছটিকে কেটে বিক্রি করা হয়। এতে মাছটির সর্ব মোট মুল্য পরেছে এক লক্ষ ৪০ হাজার টাকা।
পদ্মা গ্রামের মো. আবু সুফিয়ান জানান, প্রতিদিন রাতে এলাকার জেলেরা বলেশ্বর চরে চরগড়া দিয়ে মাছ শিকার করেন। প্রতিদিনের মতো গত রাতে গড়া দিলে গড়া জালে মাছটি চড়ে আটকা পরে। সকালে জেলেরা গড়া জালে মাছ ধরতে গেলে শাপলাপাতা মাছটি দেখতে পায়। এসময় এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় মাছটি কিনারে (লোকালয়ে)এনে ট্রাকে তুলে বাজারে নিয়ে আসে। তিনি বলে, মাছটি চারদিকে গোলাকার ১১ ফুট ২ ইঞ্চি। লেজটি লম্বা ১৮ ফিট। ১৬ জন জেলে বাঁশ বেঁধে শাপলাপাতা মাছটি কিনারে তুলেছে।
পাইকারী ক্রেতা রাজু মিয়া জানান, এই মাছটি হিন্দুদের ( সনাতনীদের) কাছে খুব প্রিয় মাছ। এ জন্য অনেকের অনুরোধে পাথরঘাটা বাজারে মাইকিং করে কেটে সপ্লমূল্যে সবাইকে ভাগ করে দেয়া হয়েছে। তা ছাড়া এই ধরনের মাছ সচারাচার পাওয়া যায় না। গত ১০ বছরেও এতো বড় মাছ পাথরঘাটা বাজারে ওঠেনী।
পাথরঘাটা মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, তারা ধারনা করছে মাছটি বাচ্চা দিতে সাগর থেকে নদীর কিনারে এসেছিল। চরের ওপর বাচ্চা দিয়ে সাগরে ফেরার পথে চরগড়া জালে বাধা পেয়ে চরের ওপর আটকে যায়।