তিন দিন পার হলেও নওগাঁর পোরশার দুয়ারপাল সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে নিহত ৩ বাংলাদেশীর মধ্যে ২জনের লাশ এখনও ফেরত দেয়নি ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সুত্রমতে, বুধবার রাতে বেশ কয়েক যুবক ভারতের অভ্যন্তরে গরু নিতে প্রবেশ করেন। তারা গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে ভোরে পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্ত এলাকার ২৩১/১০(এস) মেইন পিলারের নীলমারী বিল এলাকায় ভারতের ক্যাদারিপাড়া ক্যাম্পের বিএসএফ জওয়ানরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও গুলিতে ৩ বাংলাদেশি যুবক নিহত হন। নিহতরা হলেন উপজেলার বিষ্ণপুর বিজলীপাড়ার শুকরার ছেলে রণজিত কুমার (২৫), বিষ্ণপুর দীঘিপাড়া গ্রামের খোদাবক্্েরর ছেলে মফিজ উদ্দিন(৩৮) এবং বিষ্ণপুর কাঁটাপুকুরের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (৩২)। এ সময় মফিজ উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের ২০০ গজ অভ্যন্তরে মারা যান। আর রনজিত কুমার ও কামাল হোসেন ভারতের ৮০০ গজ অভ্যন্তরে মারা যান। ফলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিজিবি’র পক্ষ থেকে বিএসএফ কতৃক ৩ বাংলাদেশীকে হত্যার প্রতিবাদ জানানো হয়। এই অনাকাংখিত ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বিএসএফ। তারা জানায় নিহত বাংলাদেশী রনজিত ও কামালের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। ভারতীয় পুলিশ কতৃপক্ষ সকল আইনানুগ কার্যক্রম শেষে বিএসএফ এর হাতে দু’জনের মরদেহ দিলে, তারা লাশগুলি বিজিবিকে হস্তান্তর করবে বলে জানায়। তবে বিএসএফ কতৃপক্ষ কবে নাগাদ লাশ ফেরত দিবে তাদের পক্ষ থেকে তা নিশ্চত করে জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে গতকাল শনিবার মোবাইল ফোনে ১৬বিজিবি হাঁপানিয়া ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোকলেছুর রহমান জানান, মৃতু ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে লাশ ফেরতের জন্য আবেদন পাওয়া গেছে এবং লাশ ফেরতের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসা করি বিএসএফ কতৃপক্ষের কাছ থেকে দ্রুত আমরা মৃতু ব্যক্তিদের মরদেহ ফেরত পেয়ে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে পারবো।