তিন বছর অতিবাহিত হলেও বন্যার ভয়াবহ ক্ষতির চি›হ এখনো বহন করছে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে। ফুলছড়ি উপজেলায় পানির তোড়ে ধ্বসে যাওয়া রাস্তাঘাট, কালভাট-ব্রীজ এখনো বন্যার স্মৃতি বহন করছে। ব্রীজের উপর বাশের সাকোঁ দিয়ে আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করলেও বিপজ্জনক ভাবে চলাচল করছে মানুষ ও যানবাহন । এসব ব্রিজ ও কালভাটের উপর নির্মাণ করা হয়েছে বাশের সাকোঁ । ইতোমধ্যে ১ জন নিহত হয়েছে ব্রিজ থেকে নিচে পড়ে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরাপত্তাহীন ভাবে চলছে হাজার হাজার মানুষ ও ছোট যানবাহন ।
যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি উপচিয়ে তিন বছর আগে জুলাই মাসের প্রথম থেকেই শুরু হয় বন্যা । আর এই ভয়াবহ বন্যায় পানির তোড়ে ক্ষতির মুখে পড়ে গাইবান্ধা ফুলছড়ি উপজেলা। পানির ধাক্কায় ধ্বসে যায় বাধ, কাঁচাপাকা সড়ক সহ কয়েকটি কালভাট ও ব্রিজ । ফলে ফুলছড়ি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের সাথে গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পানি নেমে যাওয়ার পর এলজিইডি থেকে রাস্তায় মাটি দিয়ে কোনো রকমে মেরামত করা হয় রাস্তা-ঘাট। কালভাট ও ব্রীজের উপড়ে দেওয়া হয় বাশের সাকোঁ। নড়বড়ে সেই বাশের সাকোর উপর দিয়ে পারাপার হচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন। তেমনি একটি ব্রিজ গাইবান্ধার খামার বোয়ালী হয়ে কালির বাজার সড়কের ব্রীজটি। ফুলছড়ি হেড কোয়াটার থেকে সামান্য দুরুত্বে ব্রীজটি গত ৩ বছরেও মেরামত বা নির্মাণ করা হয়নি। ফলে এলাকার হাজার হাজার স্কুলপড়–য়া শিশু, লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছে তাদের হালকা যানবাহন নিয়ে ব্রীজটির উপর। অসুস্থ্য মানুষকে সাকোঁর উপর দিয়ে নেয়াও কষ্টকর বিষয় । এলাকাবাসী দ্রুত এ ব্রীজটি দিয়ে নিবিগ্নে চলাচল করতে চায়। তা ছাড়া গাইবান্ধা জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই সড়ক ব্যবহারে উপজেলার দ্রুরত্বও কয়েক কিলোমিটার কমে যায়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এ ব্যাপারে গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ আবদুর রহমান জানান, ব্রীজটি নির্মানের জন্য বরাদ্দ চেয়ে ইতি মধ্যেই প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ে পাঠান হয়েছে। বরাদ্দ ও অনুমোদন পেলেই ব্রীজটি নির্মান করা হবে।