আবু নাছের। তিনি তরুণ প্রজন্মের অহংকার। স্কুল বেলা থেকেই যিনি মানুষের উপকারের প্রতি নজর দিয়েছিলেন। ছুঁটে গিয়েছেন কারও বিপদের খবর পেয়ে। দোয়া নিয়েছেন। মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছেন। ঠিক প্রবাসী জীবনেও মানুষের প্রতি তাঁর আন্তরিকতা দেখে অন্যান্যরা খুশি। কর্মের কারণে ৪২ বছর বয়সী নাছের প্রতিনিয়ত সমাজের মানুষের দোয়া এবং ভালবাসায়ও সিক্ত হচ্ছেন। যেকোনো ভালো কাজে তাঁর সহযোগিতা পাচ্ছেন মানুষ। এজন্য প্রবাসে থাকলেও নাছেরের পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তাঁকে এবার ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় অনেকেই।
একাধিক সূত্র জানায়, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নে তাঁর বাড়ী। ওই ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে নাছের ইতোমধ্যে নিজ কাজের দৃশ্যমান কিছু স্বাক্ষর রেখেছেন। ওটারহাট উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক মেধাবী শিক্ষার্থী আবু নাছেরের বয়স কম। তবুও নিজ কর্মের কারণে গ্রামের মানুষের কাছে তরুণ সমাজসেবক ও শিক্ষাবিদ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। থাকেন সৌদি আরব। মাঝে মাঝে দেশে আসেন। বিগত একযুগ ধরে সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে আছেন। যেকোনো বিপদে নাছের মানুষের পাশে থাকেন বলে এলাকায়ও জনশ্রুতি রয়েছে। তিনি গরিব মেয়ের বিয়ে, দরিদ্রদের চিকিৎসা, মসজিদ, ধর্মীয় মাহফিল কিংবা মাদ্রাসায় এবং এতিমখানায় শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহযোগিতা চালিয়ে যাচ্ছেন। একসময় বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজে লেখাপড়া করার সময় তাঁর ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় এলাকার অনেক মানুষ উপকৃত হয়েছেন। কর্মজীবনে সবচেয়ে নাছেরের ব্যবহার এবং গরিব মানুষদের প্রতি তাঁর সহানুভুতি দেখানোর ফলে সমাজের অন্যান্য মানুষদের হৃদয় জয় করতে সক্ষম হন তিনি। সিরাজপুর ইউনিয়নে বর্তমানে সম্ভাব্য ইউপি চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী তালিকায় আছেন এক ডজনের বেশি মানুষ। সেই তালিকায় আছেন নাছেরও। এরমধ্যে তরুণ প্রজন্মের কাছে নাছির বেশি পরিচিত। অল্প বয়সে অন্যরা হাসি-তামাশায় দিন কাটাচ্ছেন। আর নাছের প্রবাসে কষ্ট করে যে টাকা আয় করছেন; সেখান থেকেই হতদরিদ্রদের জন্য ব্যয় করছেন। মানুষের দোয়া এবং ভালোবাসা নিয়ে আগামি ইউপি নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হবেন বলে জোরালো আলোচনা চলছে। এজন্য তাঁকে অনেকেই উৎসাহিত করছেন। তাঁর বন্ধু মহল ও স্বজনরাও চায় নাছের চেয়ারম্যান হয়ে মানুষের প্রতি সেবার মাত্রাটা আরো বাড়ানো।