টঙ্গীর শিলমুন পূর্বপাড়া এলাকার গৃহবধু সাথী (২৫) হত্যার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১ এর সদস্যরা। গতকাল শনিবার সকালে ঢাকার আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-মামলার প্রধান আসামী ও নিহত সাথীর স্বামী সরোয়ার হোসেন বাবু (৩০), শ্বাশুড়ি সালেহা বেগম (৪৫) ও ভাসুর সালাহ উদ্দিন (৩৫)।
র্যাব-১ জানায়, প্রায় এক বছর পূর্বে সারোয়ার হোসেন বাবুুর সাথে পারিবারিকভাবে সাথীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী সরোয়ার হোসেন বাবুু ও তার পরিবারের লোকজন সাথীর পরিবারের কাছে পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে তারা একপর্যায়ে তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। সাথীর পিতা সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে তার মেয়ে জামাইকে নগদ দুই লাখ টাকা দেয়। এরপরও তারা বাকি টাকার জন্য তাকে নির্যাতন অব্যাহত রাখে। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর সাথীকে যৌতুকের বাকি টাকা এনে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। সাথী তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা তার উপড় চড়াও হয় এবং ব্যাপক মারধর করে। নির্যাতনের এক পর্যায়ে সাথীর স্বামী তার মা-বাবা ও ভাইয়ের সহযোগিতায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-৩০, তাং-১৭/০১/২০২০ইং) দায়ের করেন। নির্মম এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় র্যাব-১ তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকারিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনতে দ্রুততার সাথে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। পরে র্যাবের আভিযানিক দলের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদের গতকাল গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার শিলমুন পূর্ব পাড়াস্থ জনৈক মাহাতাব উদ্দিনের বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে যৌতুকের দাবিতে ভিকটিম সাথীকে তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দেবর শারিরীক নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।