কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার দিঘীরপাড় ইউনিয়নের সংখ্যালঘু ঋষিপাড়া গ্রামের মৃত রামপ্রাসাদ চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রীবাস চন্দ্র ঋষি দাস (৩৫) রহস্যজনকভাবে খুন হয়েছে। সে পেশায় দিঘীরপাড় বাজারে সেলুনের দোকান ছিল। এই ঘটনাটি ঘটে গত শনিবার সকাল ৭ টার দিকে এলাকাবাসী বালুর মাঠ প্রাঙ্গণে তার লাশ দেখতে পায়। এ খবর পাওয়ার পর বাজিতপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে শ্রীবাসের লাশ ময়না তদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। গত শনিবার রাতে ময়নাতদন্ত শেষে ঋষিপাড়া শশ্মান খলায় তার লাশ দাহ করা হয়। এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শ্রীবাস চন্দ্র ঋষি দাস শনিবার সকালে দিঘীরপাড় বোর্ড বাজারে তার কর্মস্থলে সমস্ত দিন কাজ করেন। রাত ৯টার দিকে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও সে আর ফেরেনি। শনিবার সকাল ৭ টার দিকে শ্রীবাসের লাশ বালুর মাঠের সংলগ্ন জায়গায় পরতে দেখে এলাকাবাসী। তার মাথার পিছনের দিকে আঘাত ও মুখমন্ডলসহ সমস্ত শরীরে ফোলা জখম রয়েছে। এলাকাবাসী আরও জানান, শ্রীবাসকে ইয়াবাখোররা খুন করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার সাথে ৮-১০ হাজার টাকা ছিল। সবগুলো টাকা ইয়াবাখোররা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তখন তাকে (শ্রীবাসকে) ইট দিয়ে কয়েকজন মিলে হত্যা করে। তার গলায় আটানা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিল। শ্রীবাসের ছোট ভাই দিবাস চন্দ্র ঋষি দাস দাবি করেন, পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। এই বিষয়ে গত শনিবার দুপুরে বাজিতপুর বাজারে বিক্ষোভ মিছিল শেষে উপজেলা পরিষদ ঘেরাও করেন এলাকাবাসী। ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার সনজিৎ ঋষি দাস বলেন, ইয়াবাখোররা শ্রীবাসকে খুন করতে পারে বলে তিনি ধারণা করেন। এই ব্যাপারে গতকাল রোববার দুপুরে নিহত শ্রীবাসের ছোট ভাই দিবাস চন্দ্র ঋষি দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বাজিতপুর থানার ওসি খলিলুর রহমান পাটুয়ারি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।