মণিরামপুরে সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্মক আহত পিতা-মাতা হারা ভিক্ষুক কিশোর ইসমাইল হোসেন (১৪) কে বাঁচাতে তার একটি পা রবিবার কেটে ফেলা হয়েছে। ইসমাইল উপজেলার সদর ইউনিয়নের জালঝাড়া-খালকান্দা গ্রামের মৃত রহম গাজীর পুত্র। তার চিকিৎসার ব্যয়বহুল অর্থের জন্য বৃত্তবান ও দানশীলদের সহযোগীতা কামনা করেছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে তার যশোর পঙ্গু হাসপাতালে অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আব্দুর রউফের তত্ত্ববধানে চিকিৎসা চলছে।
জানাযায়, ইতিপূর্বের ন্যায় বিভিন্ন মানুষের কাছে সাহায্য চেয়ে গত বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ইসমাইল মণিরামপুর পৌর শহর থেকে একটি ভ্যানযোগে বাড়ী ফিরছিল। ভ্যানটি মণিরামপুর সরকারী কলেজ মোড়ে পৌঁছুলে পিছন থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানের চালকসহ অন্য ৩ যাত্রী সামান্য আহত হলেও ভিক্ষুক ইসমাইল ছিটকে রাস্তার উপর পড়লে ট্রাকটি তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে, তার অবস্থা খারাপ দেখে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। পরেরদিন চিকিৎসকের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক বলেন, তার শরীর থেকে একটি পা বিচ্ছিন্ন করতে হবে। কিন্তু অর্থাভাবে তাকে পুনরায় যশোরে ফিরিয়ে আনা হয়। এরপর মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম নিজের শরীর থেকে ভিক্ষুক ইসমাইলকে রক্তদান করাসহ স্থানীয়দের সাধ্য অনুযায়ী সহযোগীতায় যশোর পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করার পর গতকাল রবিবার দুপুরের দিকে অপরাশেনের মাধ্যমে তার বাম পা কেটে ফেলা হয়। মণিরামপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর আনিসুর রহমান বলেন, এতিম কিশোর ইসমাইলের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। যা বহন করার মতো তার পরিবারের কেউ না থাকায় স্থানীয়রা উদ্যোগী হয়ে খরচ বহন করার দায়িত্ব নিয়েছেন। জানাগেছে, ভিক্ষুক ইসমাইলের ছোট ভাই ইব্রাহিম ওরফে পাগলা ইব্রাও ভিক্ষুক। তাদের পিতা-মাতা উভয়ই ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবিকা নির্বাহ করত। ইসমাইলের চিকিৎসার জন্য সাহায্য পাঠাবার ঠিকানা, বিশ্বস্ত প্রতিবেশী সাবেক ইউপি মেম্বর আনিসুর রহমান, মোবাইল নম্বর ০১৯২১৮১৭০৪১।