গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. রেয়াজুল ইসলাম তালুকদারের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের জায়গা দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পায়নি। এমনকি এই পরিবারটিকে দেশ ত্যাগেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে তারা জানেিয়ছে।
জানাগেছে, উপজেলার রতাল গ্রামের মৃত মনি মোহন আচার্য্যের ৩ ছেলে পৈত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত ৬৭নং রতাল মৌজার বিআরএস ১২৮,১২৯, ১৮৬ দাগের ১ একর ৬৫ শতাংশ জমি ভোগ দখল করে আসছিল। কিন্তু গত ২ বছর ধরে এই ১ একর ৬৫ শতাংশ জমির মধ্যে পুকুরসহ ৫৮ শতাংশ জমি মো. রেয়াজুল ইসলাম তালুকদার নিজের জমি বলে দাবি করে জোরপূর্বক দখল করে নেয়। দখলকৃত এই জমি উদ্ধারের জন্য মনি মোহন আচার্য্যরে বড় ছেলে শংকর কুমার আচার্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন।
এই জমি নিয়ে একাদিক বার এলাকায় শালিশ বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন শংকর কুমার আচার্য । তিনি বলেন এই জমি আমরা প্রায় পাঁচ পুরুষ ধরে ভোগদখল করে আসছি। এখন রেয়াজুল ইসলাম তালুকদার তার নিজের বলে দাবি করে দখল করে নিয়েছেন। এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকারের জন্য আবেদন করলে তিনি আমাদের দেশ থেকে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে আমতলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম তালুকদারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এই জমি আমি ১৯৭৮ সালে অনন্ত সাহা ও মদন সাহার কাছ থেকে ক্রয় করেছি। আমার এই জমির বৈধ্য কাগজপত্র আছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান মিঠু বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা এলাকায় একাধিবার শালিশ বৈঠক করেছি। কিন্তু কোনো সুরহা করতে পারিনি।
কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, শংকর আচার্য্যর একটি আবেদন আমরা পেয়েছি। আবেদনের পরে দু’পক্ষকে দলিলপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলেছি। শংকর কুমার আচার্য্যদের বৈদ্য কাগজপত্র থাকলে ও জমি রেয়াজুল ইসলাম তালুকদারের ছেড়ে দিতে হবে।