ক্লু-লেস ‘ডাকাতি’ মামলা তদন্ত করে ঘটনার রহস্য উদঘাটনের পর আসামি গ্রেপ্তার ও মালামাল উদ্ধারে সফল হওয়ায় কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.কে.এম মিজানুল হককে স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা রেঞ্জ অফিসের সম্মেলন কক্ষে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন। এছাড়াও সভায় মাসিক কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৯ জন অফিসার ও ০৩ জন চৌকিদারকে পুরস্কৃত করা হয়।
ঢাকা রেঞ্জ অফিস সূত্রে জানা যায়, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আসাদুজ্জামানের বিপিএম (বার) পরিচালনায় ঢাকা রেঞ্জ অফিসের অতিরিক্ত ডিআইজি (অপস এন্ড ইন্টেলিজেন্স) ও গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার শামসুন্নাহারসহ (পিপিএম) ঢাকা রেঞ্জাধীন ১৩ জেলার পুলিশ সুপারসহ ঢাকারেঞ্জ অফিসের পুলিশ সুপারগণ মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ।
কালীগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতে কালীগঞ্জ-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কে বাঘারপাড়া নামকস্থানে একটি প্রাইভেটকারের সামনে গাছ কেটে ফেলে গতিরোধ করা হয়। এ সময় ওই ডাকাত দল প্রাইভেটকারের মালিক ডা. আসাদুজ্জামানের কাছ থেকে নগদ ৮০ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে আরেকটি যাত্রীবাহী বাসের গতিরোধ করলে এক যাত্রী ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ওই ঘটনার পরদিন সকালে (১ ডিসেম্বর) ডা. আসাদুজ্জামান কালীগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা (নং ২) দায়ের করেন। সেই মামলার প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম মিজানুল হকের নেতৃত্বে ২ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনা করে টঙ্গী, ঢাকা, বি-বাড়ীয়া ও নরসিংদী থেকে ওই ডাকাতির সাথে সরাসরি জড়িত ৭ জন এবং এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইল সেট, দেশী অস্ত্র উদ্ধার করা হয় এবং গত ৪ ডিসেম্বর (বুধবার) তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে ওই ডাকাতির মামলায় আরো চারজকে গ্রেপ্তার করে ২ জানুয়ারি আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।