পিরোজপুরের নাজিরপুরের ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে অশোভন আচরনে নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বয়কট করলেন ইউপি চেয়ারম্যানরা। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, ওই দিন বেলা ১১টায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজি আক্তারের কক্ষে এডিপি’র প্রকল্প যাচাই-বাছয়ের একটি সভা ছিলো। ওই সভায় চেয়ারম্যানরা নির্ধারিত সময়ে গেলেও ইউএনও তাদের সাথে কোনো আলোচনা না করে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি তার ব্যাক্তিগত কাজ করছিলেন। চেয়ারম্যানরা এ সময় মিটিংএর কথা বললে তিনি তাদের সাথে অশোভন আচরণ করেন ও তাদের বসা চেয়ার ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে চেয়ারম্যানদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে চেয়ারম্যানরা উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে ওই বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় তারা (ইউপি চেয়ারম্যান) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে পরবর্তী সকল আলোচনা সভা থেকে বয়কটের ঘোষণা দেন। ওই মিটিং থানা উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান জানান, ওই দিন এডিপির প্রকল্প যাচাই-বাছাই সভার নির্ধারিত সময়ে উপজেলার ৯ ইউপি চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৭জন ওই উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ওই মিটিং-এ এডিপি’র সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার অমূল্য রঞ্জন হালদার আসলে তাকে সম্মান জনক কোনো চেয়ার না দিয়ে একটি ছোট সাধারণ চেয়ার দেন ও নির্বাহী কর্মকর্থা তার ব্যাক্তিগত কাজ করতে থাকেন। এ সময় চেয়ারম্যানরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মিটিং শুরু করতে অনুরোধ করলে তিনি ক্ষেপে গিয়ে চেয়ারম্যানদের বসা চেয়ার ছেড়ে দিয়ে চলে যেতে বলেন। পরে আমারা (চেয়ারম্যান) উপজেলা চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে গিয়ে ওই প্রকল্প যাচাই বাছাই বিষয়ে আলোচনা করি। তখন চেয়ারম্যান তাকে (ইউএনও) দাওয়াত দিলে তিনি সেখানে আসেন নি। এ সময় চেয়ারম্যানরা তার আচরনের প্রতিাবদে তাকে বয়কট করেছেন। এ ব্যাপারে সেখানে থাকা এডিপি’র সদস্যসচিব ও উপজেলা প্রকৌশলী মো. জাকির মিয়া জানান, মিটিং-এ আমি কিছু বিলম্ব করে গিয়েছিলাম। আমি যাওয়ার ইউএনও’র কক্ষে প্রবেশ কালে চেয়ারম্যানরা বের হয়ে যাচ্ছিলেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের কক্ষে ওই ব্যাপারে (এডিপি) মিটিং হয়। এ সময় চেয়ারম্যানরা ইউএনওকে বয়কটের ঘোষণা দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও শেখমাটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান আতিয়ার জানান, ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে তিনি এর আগেও বিভিন্ন সময় অশোভন আচরণ করেছেন। এসবের প্রতিবাদ হিসাবে তাকে বয়কট করা হয়েছে। তিনি যে মিটিংএ থাকবেন সেখানে আমরা যাব না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজী আক্তারের ব্যাক্তিগত মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন।