বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও রয়ে গেলো লোভি-লম্পট-সন্ত্রাসী-স্বাধীনা বিরোধী-দুর্নীতিবাজদের দখলে। যে কারনে এই তো সেদিন যে ছেলেটি গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মা’ ডেকে পায়ে ধরে সালাম করে আসলো, সেই ছেলেটির ভাষ্য এখন- ‘ছাত্রলীগ বলেছে, ওই ৪ শিক্ষার্থী ছাত্রশিবির করে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি যে, ছাত্রলীগের মিছিল-মিটিং-প্রোগ্রামে নেতারা ক্যাম্পাসে র্যাকেট খেলেন, চা খান, সেই প্রটোকলে না আসায় শিবির অজুহাত দেখিয়ে তাদের অমানবিকভাবে মারধর করেছে। ছাত্রলীগ যে ভিন্নমতের শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন সময়ে হামলা চালায়, নানা অপবাদ দিয়ে মারধর করে, এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। কিছুদিন আগে বুয়েটের ছাত্র আবরারকে তো তারা মেরেই ফেলল! ডাকসুর নির্বাচিত ভিপি হয়েও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে ২২ ডিসেম্বর আমিসহ ২৪ জন শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছি। ফলে ছাত্রলীগের কর্মকান্ড সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। স্বৈরাচারী সরকারকে টেকানোর জন্য, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ বন্ধ করার জন্য, ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন ও সরকারের একটি পেটোয়া বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।’
দুর্নীতিগ্রস্থ বিএনপির উদাহরণ টেনে যেমন আওয়ামী লীগের একাংশ আরো বেশি দুর্নীতি করছে, তেমন শোভন-রাব্বানীর দুর্নীতির রদস ঢেলে আরো বেশি দুর্নীতি করছে বর্তমান ছাত্রলীগ নেতারাও। চলছে সমানতালে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডও। যদিও আমাদের রাজনীতির কালো মানুষেরা বলছেন, সবাই খুব ভালো বর্তমান ছাত্রলীগ। কিন্তু বাস্তবতা হলো- আবরার ফাহাদ হত্যার চার মাস না পেরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে চার শিক্ষার্থীকে আবরারের স্টাইলে রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের পর আহত শিক্ষার্থীদের হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় নেয়া হয় বলেও জানা গেছে। পরে শিক্ষার্থীদের রাতের বেলায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসায় নিয়ে যায় পুলিশ। অবশ্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জেনেছি- রাত সাড়ে ১১টায় জহুরুল হক হলের গেস্টরুমে ছাত্রলীগের নিয়মিত গেস্টরুম চলছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মুকিম চৌধুরীকে শিবির সন্দেহে গেস্টরুমে ডাকা হয়। সেখানে হল শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা তাদের অনুসারীদের দিয়ে মুকিমকে প্রথমে মানসিকভাবে চাপ দেয়। এতে স্বীকার না করায় তাকে লাঠি, স্টাম্প ও রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করতে থাকে। পরে তার ফোনের কললিস্ট দেখে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সানওয়ার হোসেনকে গেস্টরুমে আনা হয়। সেখানে তাকেও বেধড়ক মারধর করে ছাত্রলীগের নেতারা। মারধর সহ্য করতে না পেরে উভয়ই মেঝেতে বসে ও শুয়ে পড়ে। এর একটু পর ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মিনহাজ উদ্দীন এবং একই বর্ষের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী আফসার উদ্দীনকে ধরে গেস্টরুমে আনা হয়। সেখানে রাত দুইটা পর্যন্ত তাদের ওপর নির্যাতন করতে থাকেন ছাত্রলীগ নেতারা। পরে রাত ২টার পর তাদের প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আমি মনে করি সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে দাবী করছে তা যৌক্তিক। তাদের দাবী- ঢাবি’র প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানীকে ইতিহাসে ‘জঘন্যতম ও ব্যর্থতম’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তার পদত্যাগ, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে সিট দেয়া ও অছাত্র-বহিরাগত বিতাড়ন করে হলে হলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস-দখলদারী বন্ধ করা, ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ছাত্রলীগ-মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলা ও মঙ্গলবার রাতে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে চার ছাত্রকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণ।
এমন দাবী বাস্তবায়ন না হলে, হলে হলে টর্চার সেল গড়ে উঠবেই। বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা কলেজের হোস্টেলগুলোতে যেমন রয়েছে টর্চার সেল, তেমন তৈরি হবে আরো। যা কাম্য নয় কারো। তবু বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গণগুলোতে টার্গেটে থাকা শিক্ষার্থীকে টর্চার করার আগে দেয়া হয় বিরোধী কোনো সংগঠনের তকমা। এরপর বড় ভাইয়ের কক্ষে কিংবা তার পরের পদ পদবিধারি ভাইয়ের কক্ষকেই মূলত টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মাঝে মাঝে হলের ছাদকে নিরাপদ টর্চার সেল বানানো হয়। বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার হোসেন ফাহাদের হত্যাকান্ডের পর বুয়েটের সবগুলো হলে চলছে একই চিত্র। প্রায় সবগুলো হলেই রয়েছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের টর্চার সেল। এসকল সেলে বসে ছাত্রদের মারের টু শব্দটিও জানতে পায় না পাশের রুমের শিক্ষার্থীরা।
অবশ্য শিক্ষার্থীরা বলছে- মারার সময় তাদের মুখ গামছা দিয়ে বেধে নেয়া হয়। আবরারের বেলাতে তাই ঘটেছিল। আবরারকে যে ভবনে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ওই ভবনের শিক্ষার্থীরা জানায় তাকেও মুখে গামছা বেধে নেয়া হয়েছিল বলে তারা মনে করছেন। আমাদের হলে ২০০৫, ২০১১, ৩০০৮ নং তিনটি রুমই মূলত টর্চার সেল হিসেবে একেক সময় ব্যবহার করা হয়। জিএস রাসেলসহ আরো কয়েকজন মিলে এই টর্চারের লিড দিতেন। দেড় বছর আগে আমাকে শিবির বলে মারা হয়েছিল। ওরা কাউকে টার্গেট করলে প্রথমেই তার ফোন, ল্যাপটপ অনুসন্ধান করে দেখে সে ভিন্ন কোনো দলের সমর্থক কি না। ফেসবুকে কি ধরনের পোস্ট দেয়। কোন পেইজে লাইক দেয়। কোনো শিক্ষার্থী ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর যদি তাদের মনে হয় এটা তাদের পছন্দ হয়নি। তখনই তাকে রুমে ডেকে মারধর করে। ২০১১ নং কক্ষের তিনজন এখনো পলাতক। যারা আবরারকে মারের সময় ছিল। বুয়েটের জিমনেশিয়ামে নিয়েও মারা হয়। মারের ঘটনাগুলো মূলত শুরু হতো রাত ১২ টার পর। সম্প্রতি দুই শিক্ষার্থীর কান ফাটানোকে কেন্দ্র করে আমরা বিচার চাইলেও ভিসি গুরুত্ব দেননি। আবরারকে যে কক্ষে নির্যাতন করা হয় তার পাশের রুমে থাকা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বলেন, আমি প্রায়ই বাসায় যাই। আবার হলেও থাকি। ঘটনার দিন রাতে আমি রুমে পড়ছিলাম। যখন বুয়েটের ডাক্তার আসে তখন আবরারের বিষয়টি জানতে পারি। এ ধরনের মারধরের ঘটনা নতুন নয়। এই কক্ষে প্রায়ই এই ধরনের ঘটনা ঘটে। চলতি সপ্তাহে একই কক্ষে আরো দুজনকে মার ধরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি চোখের সামনে দেখছি একজনকে স্ট্যাম্প দিয়ে পিটানো হচ্ছে, তখন যদি থামাতে যাই আমার অবস্থা কি হবে একবার ভেবে দেখেন। আমি গেলে আমাকেও তারা শিবির বানিয়ে দিবে। আবরার যে ফ্লোরে থাকতেন সেখানকার দুই শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেছে- ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আমরা দুজনেই ওদের টর্চারের শিকার হয়েছি। ওরা শিক্ষার্থীদের মারধরের জন্য ছুটির সময়টা বেছে নেয়। বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার রাতগুলোকে ওরা মারের জন্য উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নেয়। বিশেষ করে বুধবার রাত হচ্ছে প্রথম বর্ষের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের কাছে ভয়ংকর রাত। গত এক বছর আগে র্যাগিং এর কারণে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করে। যখন যেখানে সুবিধা সেখানে নিয়ে তারা র্যাগ দেয়। একইভাবে সোহরাওয়ার্দী হলের সিএসসির শিক্ষার্থী জানায়- র্যাগিংয়ের ঘটনা প্রত্যেকটি হলেই আছে। কোনোটা প্রকাশ পায় কোনোটা পায় না। একমাস আগে আমাদের হলে একজন শিক্ষার্থীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা নিয়ে অনেক লেখালেখি হয়েছে। আমাদের হলে নির্দিষ্ট কোনো রুম মেনটেন করা হয় না। এটা নির্ভর করে তাদের ইচ্ছার ওপর। তারা দেখে কোন রুম ফাঁকা আছে সেখানে নিয়েই ছেলেদের পিটানো হয়। মারামারির ঘটনা এখানে প্রতিমাসেই কম বেশি হয়। তবে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। আবরার মারা যাওয়াতে তার ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। বাকিদেরটা পায় না। পাঁচ মাস আগে আমাদের হলে ডাইনিং ম্যানেজার শিক্ষার্থীকে এক জুনিয়রকে দিয়ে পিটানো হয়েছে। আমাদের হলেও টর্চারের জন্য রুম আছে। যেটা সব হলেই থাকে। ভবনের দুপাশের চার তলায় টর্চার রুম আছে। অর্থাৎ ক্ষমতাসীনদের রুমগুলোই মূলত টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আমাদের হলে প্রায় পাঁচ শ’র মতো শিক্ষার্থী আছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে এই ধরনের ঘটনার কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। আমাদের ১৫ তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থীকে সাত থেকে আট মাস আগে একটি রুমে নিয়ে হাত পা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়। কয়েকদিন আগে আহসানউল্লাহ হলে, সোহরাওয়ার্দী হলে টর্চারের ঘটনা ঘটেছে। একজনকে মেরে কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। কিছুদিন আগে একজন শিক্ষার্থীর হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে। এর আগে এমন অনেক ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছে।
বুয়েটে হলের সংখ্যা মোট ৮টি। আহসান উল্লাহ হল, তিতুমীর হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল, ছাত্রী হল, শের-এ-বাংলা হল, সোহরাওয়াার্দী হল, ড. এম. এ. রশীদ হল, শহীদ স্মৃতি হল। মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সারে পাঁচ হাজার। এসব হলের মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় র্যাগিং হচ্ছে শেরে বাংলা হলে।
হলের কোনো শিক্ষার্থী যদি বিরুদ্ধ মত দেয় কিংবা কাউকে যদি অপছন্দ হয় তাকেই শিবির বলে রুমে আলাদাভাবে ডেকে নেয়া হয়। আমি নিজ চোখে আমার রুমের বারান্দায় দাঁড়িয়ে চার থেকে পাঁচবার দশ বারোজন ছেলেকে অন্তত পিটাতে দেখেছি। একজন দৌঁড়াচ্ছে আর বাকীরা হল থেকে পিটিয়ে নামাচ্ছে। পিটিয়ে আধমরা করে পুলিশে খবর দিয়ে তুলে দিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে জুনিয়র একজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে সিনিয়র শিক্ষার্থীকে পিটিয়েছে। পরবর্তীতে তাকে হল থেকে বের করে দিয়েছে। র্যাগিং সবগুলো হলে রেগুলার একটি ঘটনা। অন্যান্য হলের মতো আমাদের হলে খুব বেশি টর্চারের ঘটনা না ঘটলেও একেবারেই যে ঘটেনা সেটা বলা যাবে না। তবে শেরে বাংলায় যেটা হয়েছে সেটা একেবারেই ব্যক্তিগত আক্রোস থেকে হয়েছে। মেয়েদের হলে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে না। আমাদের হলে সিকিউরিটি নিয়ে কিছু সমস্যা থাকলেও র্যাগিয়ের বিষয়টি একদমই নেই। আমাদের হলে প্রায় সাড়ে ৪শ থেকে ৫শ মেয়ে রয়েছে। কখনো র্যাগিং-এর শিকার হইনি। এ ধরনের কোনো ঘটনা শুনিনি। মেয়েদের হলের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, মেয়েদের হলে ওভাবে রাজনীতির বিষয়টি নেই। কাজেই এটা হওয়ারও সুযোগ নেই। তবে ছেলেদের হলের অবস্থা এতোটা ভয়াবহ হয়েছে এটা আবরারের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমাদেরও জানা ছিল না। নজরুল ইসলাম হলের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের হলে জুনিয়ররা ভর্তির পরে পরিচয় পর্বের নামে টর্চার বা বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। আবরার যদি মারা না যেত তাহলে এখন হয়তো হাত পা ভেঙ্গে হাসপাতালে শুয়ে থাকতো। আমরা কেউ জানতে পারতাম না। এমনকি মিডিয়াও না।
এই যখন অবস্থা, তখন বলতেই হচ্ছে যে, যারা মুকিমের ওপর অন্যায়ভাবে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া, একটা নিরাপদ ক্যাম্পাস সৃষ্টি, যেখানে স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশ ও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করা যাবে এবং রাজনৈতিক মতের প্রতিফলন ঘটানো যাবে, আবাসিক হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, প্রথম বর্ষ থেকেই হলে সিট বরাদ্দ দিতে হবে এবং সিট বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। বংলাদেশে সন্ত্রাসকে ‘না’ বলে এগিয়ে যেতে হবে সবাইকে...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি