মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষাকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করেনে আধুনিকতার ছোয়ায়। তার প্রতিটি সাহিত্য কর্মে রয়েছে দেশাত্মবোধ। সুদুর ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে বসে তিনি সনেট রচনার মাধ্যমে মার্র্তভুমি ও তার জন্মধন্য সাগরদাাঁড়ি কপোতাক্ষ নদকে ঘিরে লিখেছেন অসংখ্য কবিতা। বাঙ্গালী জাতির গর্বিত ইতিহাস তাকে স্মরণ করে। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এমপি যশোরের কেশবপুরের সাগরদাঁড়িতে সংষ্কৃত মন্ত্রণালয় আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী মাইকেল মধূসূদন দত্তের ১৯৬ তম জন্মবার্ষিকী ও সপ্তাহব্যাপী মধু মেলার সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মধু মঞ্চে মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুৃল ইসলাম মিলন, কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী রফিকুল ইসলাম,কেশবপুর পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব নুসরাত জাহান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন, দৈনিক ইত্তেফাকের বিশেষ প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের কেশবপুর শাখার সভাপতি শ্যামল সরকার,অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক, কেশবপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আশরাফ –উজ-জামান খান, ডুমুরিয়া কলেজের সহকারী অধ্যাপক রমেশ চন্দ্র মন্ডল, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মু¯াÍফিজুল ইসলাম মুক্ত। অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রীকে সাগরদাঁড়িতে সংষ্কৃত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন কমিটির নের্তৃবৃন্দ। এর পর আলোকচিত্রি তাহেরুজ্জামান তাছুর সম্পাদিত মধুসূদন ও মধুমেলা স্মৃতি এ্যালবাম এর মোড়ক উন্মেচন করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন র্পায়ে অংশ গ্রহণকারি কুইজ ও চ্রিাঙ্কণ প্রতিােগিতায় বিজীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। সমাপনি অনুষ্ঠানের ১ম পর্বের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন স্থানীয় সংগঠন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরাম ,মনোজ ধীরাজ একাডেমী, রবীন্দ্রÑ নজরুল সাংস্কৃতিক পরিষদ,এনডিও সাংস্কৃতিক পরিষদ ও উদীচী । যশোরের মুক্তেশ্বেরী সাহিত্য সংসদ,অগ্নিবীণনা ,কিংশুক, স্বরগম,বাইলিয়ানা,মা নৃত্যালয় । আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষে শিল্পী দেবলীনা সুর এর একক সংগীতা অনুষ্ঠান, এরপর লোকসংগীত,নাটক ও ’ বিশ্ব বরেণ্য বঙ্গবন্ধ’ু যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয়।