দীর্ঘদিন পর মাদারীপুরে ঐতিহ্যবাহী বন্যপ্রাণী বানরের জন্য খাদ্যের কর্মসূচি (৭৬ দিনের) খাবার বরাদ্দ হয়েছে। গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর থেকেই বিভিন্ন স্থানে ভ্যানগাড়ীর মাধ্যমে কলা, গাজর, শশা দেওয়া হয়।
এ খাবার আগামি দিনগুলো একইভাবে দেওয়া হবে। খাবারের তালিকায় ছিল বানরের ১২০ কেজি কলা, ৬০ কেজি গাজর ও ৬০ কেজি শশা। এ সময় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সদস্যসহ জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, মাদারীপুরের মেসার্স ঝলক বিজনেস সেন্টার নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরকারি বরাদ্দকৃত এই খাবার চরমুগরিয়া ইকোপার্ক এলাকাসহ বিভিন্ন শহরে ঘুরে ঘুরে বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চরমুগরিয়ার বানরকে খাওয়ানো হয়।
খাবারের তালিকায় ছিল বানরের ১২০ কেজি কলা, ৬০ কেজি গাজর ও ৬০ কেজি শশা। মাদারীপুর সদর উপজেলার বন্দর নগরী চরমুগরিয়ায় প্রায় আড়াই হাজার বানরের মাঝে এই খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় এলাকার বিভিন্ন উৎসুক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মাদারীপুর জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তা তাপস কুমার সেন গুপ্ত বলেন, চরমুগরিয়া এলাকায় অনেক বানর রয়েছে যা ঠিকমতো খেতে পারতো না, মানুষের দোকানপাট ও বাড়ি ঘরে চুরি করে যা খেতো তা আসলে এদের জন্য যথেষ্ট ছিল না, এমনকি মানুষদের বিরক্ত করে বেড়াত’ এরাও বিভিন্ন অত্যাচারের স্বীকার হত। তাই সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে ৭৬দিনের খাবারের কর্মসূচি পেয়েছি।
তবে আগামি ৩ বছরের জন্য আমরা বরাদ্দ পাবো আমার জানতে পেরেছি, এতে করে আমরা ইকোপার্কের ভেতরে চরমুগরিয়ার সমস্ত বানরকে বনায়ন প্রক্রিয়ায় স্থানান্তর করতে পারবো বলে আশা করি।