নওগাঁর ধামইরহাটে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, নওগাঁর বাস্তবায়নে ধামইরহাট উপজেলা আমাইতাড়া হতে মঙ্গলবাড়ী পর্যন্ত সাড়ে ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১ কিলোমিটার রাস্তার ও ৯’শ মিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ অনুমোদিত হয় এবং রাস্তার খননকাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। কিন্তু কাজ ভালো ভাবে শুরু হতে না হতেই অনিয়মের শুরুটা চোখে পড়ার মত। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩০ জানুয়ারি বেলা ১১ টায় ধামইরহাট উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকায় সোনালী ব্যাংকের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ড্রেন নির্মাণ কাজে খনন পরবর্তী বালি ও পানি দিয়ে কমপেকশন করার কথা, এবং তার পরই ইট বিছিয়ে ঢালাই কাজ সম্পন্ন করার বিধিগত ও ইস্টিমেটে উল্লেখ থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা করছেনা, মাটিতে বালি ও পানি না দিয়ে যেনতেন ভাবে সরাসরি ঢালাই সম্পন্ন করছে। মিস্ত্রিকে এই অনিয়মের কথা বললে তারা মুখ খুলতে নারাজ, অনেকেই ক্যামেরা দেখে পালাবার মতো অবস্থা। এ বিষয়ে দায়িত্বরত কার্য সহকারী মো. আসহান বলেন, বালি ও পানি দিয়ে কমপেকশন করার কথা আছে, করছেন না কেন, প্রশ্ন করা হলে, তিনি নির্বাক হয়ে ঊর্ধ্বতন মহলে ফোন করা শুরু করেন।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ, নওগাঁ পতœীলার উপ-বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রুবেল হোসেন, বলেন, বালি ও পানি অবশ্যই দিতে হবে, তবে কোথাও যদি শুকনো জায়গা পাওয়া যায় তা হলে বালি-পানি না দিলে সমস্যা হবে না। সরকারি নির্দেশনা ও ইস্টমেটে বালি-পানি দিতে হবে উল্লেখ থাকলেও কেন শুকনো জায়গার অজুহাত দিচ্ছেন এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা দেখছি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রাজেন সাহা, আবু তালেব, মুক্তারুল হক ও আবু ইউসুফ মর্তুজা রহমান অভিযোগ করে বলেন, এ অনিয়ম মেনে নেওয়া যায়, আমরা মুজিব বর্ষে কোনো অনিয়ম হতে দিব না, প্রতিকারের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু দৃষ্টি কামনা করছি।