বুধবার দিবাগত রাতে নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ এক যুবতীকে (২৫) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে কার্জন আলী (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। সে উপজেলার খাজুর ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের আবদুল লতিফ মন্ডলের ছেলে।
মহাদেবপুর থানার ওসি নজরুল ইসলাম জুয়েল জানান, ওই তরুণী মহাদেবপুরের একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নার্স হিসাবে কর্মরত ছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭ টায় তিনি তার ক্লিনিকের কাজ শেষ করে বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা দেন। বাড়ীর কাছাকাছি মাদরাসা এলাকায় পৌঁছলে কার্জন, তার বন্ধু একই গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মোরশেদ আলম (১৭), সৈয়দ আলীর ছেলে সাব্বির হোসেন (১৬) ও আবদুস ছালমের ছেলে রনি হোসেন (১৭) তাকে জোরপূর্বক রাস্তা থেকে তুলে পার্শ্ববর্তী কলাবাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। তরুণীর চিৎকারে গ্রামের লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়।
পরদিন ওই তরুণী এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তকারী দারোগা এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইলফোনের অবস্থান জেনে কার্জনকে আটক করতে সক্ষম হন।
এসআই জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, অন্য আসামিরা ঢাকা পালিয়ে গেছেন। তাদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, এর ১০ দিন আগে গত ১৮ জানুয়ারি মহাদেবপুর থানা পুলিশ এক আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে খমেজ উদ্দিন (৫৫) নামে এক বৃদ্ধকে আটক করেছিল।