কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের তুগুরিয়া গ্রামের স্কুলছাত্রী অপরণের ১৩ দিনেও উদ্ধার হয়নি। অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে দুই লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করার পর নাঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ করে অপহৃতের পিতা। অপহরণের অভিযোগে গত বুধবার একই গ্রামের মৃত আবদুল বারেকের ছেলে মামুন (৩৫) নামের একজনকে আটক করে থানা পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি খিলা গনউদ্যোগ স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ও তার বোন সন্ধ্যায় বাড়ীর পাশে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের ব্রীজের উপর ঘুরতে যায়। এ সময় মুখোশধারী ঐ গ্রামের সেলিমের ছেলে সোহাগ, তার ভাই শিপন, মামুনসহ তিন চার জন অপহরণকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে ওই ছাত্রীকে নোয়াখালীর দিকে নিয়ে যায়। পরে সোহেল নামের এক যুবক অপহৃতের পিতার নিকট মোবাইল ফোনে দুই লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। এ ঘটনায় অপহৃতের পিতা বাদী হয়ে বুধবার ৪ জনকে আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আটকৃত মামুনকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে পুলিশ।
অপহৃতের পিতা বলেন, আমার মেয়েকে অপহরণ করায় আমি থানায় মামলা দায়ের করি। অপরণকারী সোহেল ও তাদের লোকজন আমাকে ও আমার পরিবারকে হত্যা ও আমার মৎস প্রজেক্টে বিষ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমার মেয়েকে উদ্ধারে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষে কামনা করছি।
নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, অপহৃতকে উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্ত একজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।