রংপুর নগরীকে শিশু বান্ধব নগরী হিসেবে গড়তে পরামর্শ বিষয়ক এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। রংপুর সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় ও ইউনিসেফের আয়োজনে বৃহস্পতিবার রংপুর চেম্বার অব কর্মাস এণ্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ মিলনায়তনে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- রংপুর বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনার পরিচালক মাহবুব আলম , ইউনিসেফ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান সমন্বয়কারী নাজিবুল্লাহ হামীম, রংপুর চেম্বার অব কমার্স এণ্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের প্রেসিডেন্ট মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু, রসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন মিঞা, জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ হিরম্ব কুমার রায়, ইউনিসেফ কর্মকর্তা আফছার রহমান প্রমুখ। সভায় শিশুদের মতামত প্রকাশের সুযোগ, বন্ধুদের সহচার্য ও খেলাধুলার স্থান নির্ণয়, সুস্থ ও যতœসহ উন্নতমানের সেবা, বৈষম্যহীন বেড়ে উঠার সুষম সুযোগ, শোষন-সহিংসতা ও নিপীড়ন মুক্ত জীবন, উন্নতমানের শিক্ষা ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ, নিরাপদ পরিচ্ছন্ন ও সবুজ প্রকৃতি ঘেরা জীবন, পারিবারিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নাগরিক জীবন নিশ্চিত করার দাবি জানান বক্তারা। সভায় উপস্থিত ছিলেন, রংপুরের সুশীল সমাজের সর্বস্তরের পেশাজীবিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অর্ধশত শিশু শিক্ষার্থীরা।
এদিকে: রংপুরে মিডিয়া প্রতিনিধিদের সাথে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা ও জেন্ডার ভিত্তিক বৈষম্য বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পায়রাবন্দ আদর্শ মানব উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রংপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সভায় সভাপতিত্ব করেন, পায়রাবন্দ আদর্শ মানব উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক নাসরিন দিলারা আফরোজ পল্লবী। সভায় নারী নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে জানানো হয়, গত বছরে দেশে ৭৯১ ধর্ষণ, ধর্ষণের পর ৪৬ হত্যা, স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন ১২২, যৌন হয়রানি ১৪৭ সহ অসংখ্য সহিংস ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রভাব পড়েছে পরিবার ও সমাজে। এর থেকে উত্তোরণের জন্য আমাদের সকলকে সচেতন হতে হবে। রুখে দাঁড়াতে। করতে হবে অন্যায়ের প্রতিবাদ। এ সহিংসতা প্রতিরোধে করণীয় প্রয়োজনীয় আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়ন করাসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী একেএম জাহিদুল ইসলাম, ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস এণ্ড ডায়ভারসিটি কর্মসূচীর বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সেলিনা বেগম, পায়রাবন্দ আদর্শ মানব উন্নয়ন সংস্থার পরিচালক আবদুর রহিম মুকুল, বিভিন্ন মিডিয়া সাংবাদিকসহ অন্যরা। সভায় নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরাসহ ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।