ঝিনাইদহের মহেশপুরে বরযাত্রীবাহী মটরসাইকেল ও ইটভাটার মাটি টানা ট্রাক্টরের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। শুক্রবার বিকাল ৩ টার দিকে মহেশপুর-যাদবপুর সড়কের হিদেরগাড়ি নামক স্থানে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হল, কোটচাদপুর উপজেলার লক্ষীকুন্ডু গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাব্বির হোসেন (২০), চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার চাকলা গ্রামের রাকিব উদ্দীনের ছেলে রাজু আহমেদ (২৩) এবং একই এলাকার নজরুল ইসলাম (৪০)। নিহতরা সবাই বরযাত্রী ছিলেন। তারা চলন্ত মোটরবাইকে ক্যামেরা নিয়ে ভিডিও ধারন করছিলেন।
মহেশপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রমেশ কুমার সাহা জানান, মহেশপুর উপজেলার নাটিমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের আব্দুর রউফ উদ্দীনের ছেলে প্রবাসি রনি হোসেনের বিয়ের দিন ছিল একই ইউনিয়নের বাবলা মাথাভাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল ইসলাম আজাদের মেজ মেয়ের সাথে। শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর তারা দু’টি মাইক্রো ও কয়েকটি মোটরসাইকেল নিয়ে মেয়ের বাড়ি বাবলা মাথাভাঙ্গা গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। প্রতিমধ্যে হিদেরগাড়ি নামক স্থানে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ইটভাটার মাটি বহনকারী একটি ট্রাক্টরের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ট্রাক্টরের চাপায় মোটরসাইকেলের তিন যাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হয়। এসময় ট্রাক্টরটি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে ধানের জমিতে উল্টে পড়ে। সংবাদ পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের উদ্ধার করে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে আনলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।মোটরসাইকেল আরোহীরা বেপরোয়াভাবে দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিল বলে স্থানীয় মাঠে কাজ করা কৃষকরা জানান।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত নাটিমা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বর জহুরুল ইসলাম জানান, মোটরসাইকেল চালক বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারনে দূর্ঘটনায় পড়ে। ট্রাক্টরের চাপায় ঘটনাস্থলে দু’জন মারা যায়। একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় বলে জানান এই জনপ্রতিনিধি।
এদিকে মহেশপুর থানার ওসি মোর্শেদ হোসেন খান তিন বরযাত্রী নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দ্রুত গতিতে মটর সাইকেল চালানোর কারনেই দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। নিহতদের হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যায় বলে জানান ভারতীয় সীমন্তিবর্তি থানার এই ওসি।