গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলি-গলি পর্যন্ত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মরণ যান ট্রাক্টর (কাঁকড়া)। প্রায় প্রতি দিনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন পথচারীরা। প্রতি মুহূর্তে আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের বাবা-মার।
প্রতিদিন কাকডাকা ভোর হতে গভীর রাত পর্যন্ত উপজেলার বোনারপাড়া-গাইবান্ধা সড়ক, সাঘাটা-ভরতখালী সড়ক, জুমারবাড়ী- বারকোনা সড়ক, বোনারপাড়া-কচুয়া সড়ক, পুদুমশহর সড়ক সহ সদরের ব্যস্ততম সকল সড়কে সবখানে এই যন্ত্রদানব অবৈধ ট্রাক্টর (কাঁকড়া) দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। চালকের লাইসেন্স তো দূরের কথা চালানোর নেই কোনো অভিজ্ঞতা। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দিয়ে চালানো হচ্ছে এসব কাঁকড়া নামক ট্রাক্টর। আইন অমান্য করে তথা কথিত এসব কাঁকড়া চলাচলের ফলে একদিকে যেমন জীবন হারাচ্ছে পথচারী সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তাঘাট। এ যেন রামরাজত্ব, প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন।
ট্রাক্টর-ট্রলি সড়কে চলাচলের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এ যন্ত্রদানবের চালকরা তা মানছেই না। দ্রতগতির ফলে সড়কগুলোতে প্রতিদিন দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।জমির পাশ দিয়ে বালি মাটি বহনের ফলে ধুলা মাটি উড়ে পড়ছে ফসলের ওপর। ফলে জমির ফলন ব্যাপকহারে হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যমুনা নদী থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু অবৈধভাবে উঠিয়ে জমা করে তা কাকরা দিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে দুর্ঘটনার শিকার একাধিক মোটরসাইকেল আরোহী জানান, প্রতিদিন এসব কাঁকড়া জমি থেকে মাটি নিয়ে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ায় কিছু মাটি রাস্তায় পরে যায়, ঘন কুয়াশায় রাস্তায় পরে থাকা মাটিগুলো খুবই পিচ্ছিল হয়ে থাকে ফলে প্রতিদিন অসংখ্য মোটরসাইকেল চালক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে এবং ইতোমধ্যে অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। গত ৬ মাসে এদের কবলে পড়ে অন্তত ১০টি ছোট-বড় দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় ২৫ জন। উপজেলা প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম জানান, এসব ট্রাক্টর চলাচলে বিধি নিষেধ থাকলেও তা মানছে না এরা। তবে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন তিনি।