নওগাঁর সাপাহারে দুই সন্তানের জননী (৩৫) এক গৃহবধুকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আবদুল লতিফ (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে থানা পুলিশ আটক করেছে । এ ব্যাপারে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দাখিল করেছে।
থানার দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মধ্যে করমুডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ গত ৩০ জানুয়ারি সকাল ৮টার দিকে তার অসুস্থ বাবাকে দেখার জন্য দক্ষিন করমুডাঙ্গা চৌমুহনী গ্রামে বাবার বাড়ীতে যায়। ওই দিন বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিজ বাড়ীতে ফিরে আসার পথে দূর সম্পর্কের দেবর আবদুল লতিফ তার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তার অবস্থান জানতে চায়। একপর্যায়ে তার সাথে জরুরি কথা আছে বলে লতিফ ওই গৃহবধুকে রাস্তা থেকে সুকৌশলে মাদরাসা পাড়া গ্রামের একটি বাড়ীর শয়ন ঘরে নিয়ে গিয়ে নানান কথার ফাঁকে ওই গৃহবধুকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। ওই লম্পটের লতিফের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য ওই গৃহবধূ ডাক-চিৎকার শুরু করলে বাড়ীওয়ালা সহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে ওই চরিত্রহীন নারীলোভী লতিফ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরবর্তী সময়ে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করলে শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদর থেকে অভিযুক্ত লতিফকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। অভিযোগের তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সত্যতা মিললে অভিযুক্ত লতিফের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলা দায়ের করা হয়। আটককৃত আবদুল লতিফ উপজেলার বলদিয়াঘাট করমুডাঙ্গার মৃত আরশাদ আলীর ছেলে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য যে, আটক আবদুল লতিফের বয়স ৪০ বছর পেরিয়ে গেলেও বিয়ে শাদী না করে এলাকায় একাধিক নারী কেলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এলাকাসী সূত্রে জানা গেছে।
এ ব্যাপরে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে থানার ওসি আবদুল হাই নিউটন বলেন, আটককৃত লতিফের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪)(খ) ধারায় মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।