পিরোজপুরের নাজিপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে বলে দাবি উভয়ের। রোববার সকালে উপজেলার মাটিভাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে গুরুতর আহত স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ও যুবলীগ নেতা রিয়াজুল কবির (৩২) ও স্থানীয় পথচারী মো. শরিফুল ইসলাম (৪০)কে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয় জানান, এর আগের দিন গত শনিবার সকালে ওই হোস্টেলে থাকা এইচএসসি পরীক্ষার্থী হামিমকে মারধর করেন কলেজ কমিটির সভাপতি মো. রনি শেখ ও সহ-সভাপতি রবিউল শরিফ। এ ঘটনা স্থানীয়ভাবে মীমাংশা করে দেয়ার জন্য ওই দিন রাতে স্থানীয়ভাবে বসার কথা থাকলেও তারা (সভাপতি) আসে নি। বরং রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমরা কলেজে গেলে কলেজের মসজিদ গেটে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় সভাপতি’র নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ৮/৯ জনে আমাদের উপর হামলা করে। এ সময় হামলায় কলেজ কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মেরাজুল ইসলাম ফারাভী, রিজভী শরিফুল, শাফিক হোসেন, তানভীর হোসেন ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি অমিত হাসান আহত হন।
তবে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি মো. রনি শেখ এমন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, সাধারণ সম্পাদক মেহিদী হাসান হৃদয় ওই দিন সকাল ১০টার দিকে কলেজের প্রথম বর্ষের কমিটির সাধারণ সম্পদক শরিফুল ইসলামকে মারধর করে। এ ঘটনার জের ধরে শরিফুলের লোকজন তাদের মারধর করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হৃদয় তার লোকজন নিয়ে স্থানীয় মাটিভাঙ্গা বাজারে থাকা স্থানীয় ছাত্রলীগের অফিস ভাঙচুর করে। সেখানে থাকা টিভি, চেয়ার-টেবিল সহ বিভিন্ন মালামাল ভাঙচুর করে। এ সময় এ হামলায় বাধা দিতে যাওয়া স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও পল্লী চিকিৎসক রিয়াজুল কবির (৩২) কে এবং এ সময় এ হামলার ছবি তুলতে থাকা স্থানীয় পথচারী শরিফুল ইসলাম(৪০)কে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। তবে কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক এমন হামলার সাথে নিজের জড়িত থাকার অভিযোগকে অস্বীকার করে জানান, আমরা সভাপতি গ্রুপের হাতে ২দফা মার খেয়ে চলে এসেছি। আমরা কাউকে মারি নি। এ ব্যাপারে মাটিভাঙ্গা তদন্ত কেন্দ্র পুলিশের আইসি (ওসি) মো. মিজানুর রহমান এমন হামলা, মারধর ও অফিস ভাংচুরের কথা স্বীকার করে জানান, উভয় গ্রুপই ছাত্রলীগ। তারা আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবদুস সালাম জানান, উভয়েই ছাত্রলীগ। তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার চিৎকার শুনে আমি (অধ্যক্ষ) অফিস থেকে বের হয়ে তাদেরকে কলেজ থেকে বের করে দেই। পরে কলেজের বাহিরে কি হয়েছে তা আমার জানা নেই।