মাগুরা শ্রীপুর থানায় জালাল মোল্ল্যা (৪৭) হত্যা মামলা না নেওয়ায় তার পরিবার মাগুরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। নিহতের স্ত্রী, কন্যাসহ আত্বীয় স্বজনরা হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে তাদের জীবন নাশের হুমকি প্রদানের অভিযোগ করেছে।
আজ সোমবার দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত জালাল মোল্ল্যার স্ত্রী কমলা বেগম ও মেয়ে আকলিমা আক্তার মলিনা লিখিত অভিযোগ পাঠ করেন। স্ত্রীর অভিযোগ তার স্বামী মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার জোকা গ্রামের কাচা তরকারি ব্যাবসায়ী জালাল মোল্ল্যা (৪৭) পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদাহ শৈলকূপা উপজেলার বন্দেখালী গ্রামের সুদে ব্যবসায়ী তাহাজ্জত মোল্ল্যা এবং মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার সাবিনগর গ্রামের পিকুল মোল্ল্যা ও বাদশা মন্ডলের কাছে এক লাখ করে মোট ৩ লাখ টাকা ধারের টাকা পেত। এই টাকা ফেরতের জন্য তাদেরকে চাপ দিলে গত ১লা জানুয়ারী সন্ধ্যায় তারা বাড়িতে এসে তার স্বামীকে খোজ করে এবং জীবননাশের হুমকি দেয়। তার পরদিন ২ জানুয়ারী সকালে জোকা মাঠে তার মূখে মাফলার ঢুকানো এবং পা ভাঙ্গা অবস্থায় লাশ পাওয়া যায়। সুদে ব্যবসায়ী তাহাজ্জত, পিকুল ও বাদশা তাকে পরিকল্পিত ভাবে অপহরনের পর হত্যা করেছে মর্মে শ্রীপুর থানায় মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাহাবুবুর রহমান আসামীদের সাথে যোগসাজসে মামলা গ্রহন করেনি।
পরে নিহতের দরিদ্র পরিবার মাগুরা আদালতে সুদে ব্যবসায়ী তাহাজ্জত, পিকুল ও বাদশাকে আসামী করে মামলা রুজু করলে বিজ্ঞ বিচারক থানাকে জালাল হত্যার প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দ্দেশ দেন। ফলে আসামীরা পুলিশের সহযোগীতায় উল্টো বাদী ও তার পরিবারের সদস্যদের মামলার আর্জি তুলে নিতে জীবননাশের হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মাহাবুবুর রহমান জানান, গত ২ জানুয়ারী জোকা মাঠে জালাল মোল্ল্যার লাশ উদ্ধারের পর প্রাথমিক ভাবে বিষ পানে আত্বহত্যা উল্লেখ করে একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়। আদালতের নির্দ্দেশে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। ভিসারা রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আসামীদের সাথে যোগসাজসের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।