পাঁচবিবির ঔষধের দোকানগুলিতে অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে অতি-প্রয়োজনীয় কিছু ঔষধের দাম। গ্যাসের ঔষধ, শর্দি-কাঁশির ঔষধ, হাঁপানীর ঔষধ, ব্যাথার ঔষধ, পরিপাকের ওষুধ সহ কিছু এ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের দাম ৪০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু কিছু দোকানে নিষিদ্ধ ঘোষিত ঔষধও বিক্রয় হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভুগি মানুষ হচ্ছে ভোগান্তির স্বীকার।
বাজারের বিভিন্ন দোকানঘুরে দেখা গেছে, রেবিপ্রাজল গ্রুপের গ্যাসের ওষুধ শতকরা ৪০ পার্সেন্ট বেশি দামে বিক্রয় করছে দোকানীরা। যা পূর্বে বিক্রয় হত ৫ টাকা এখন বিক্রয় করছে ৭ টাকা প্রতি পিচ। একই রোগের ইসমোপ্রাজল গ্রুপের ট্যাবলেট পূর্বে বিক্রয় হত ৫ টাকা এখন বিক্রয় করছে ৭ টাকা প্রতি পিচ। যানা গেছে, অধিকাংশ কোম্পানিগুলোই এই গ্রুপের ট্যাবলেটের দাম শতকরা ৪০/৫০ ভাগ বৃদ্ধি করেছে। কিটোটিফিন গ্রুপের ঔষধ, স্কয়ার কোম্পানির টোফেন ট্যাবলেট পূর্বে বিক্রয় হত ২ টাকা এখন বিক্রয় করছে ৩.৫০ সাড়ে তিন টাকা প্রতি পিচ। অন্যান্য কোম্পানিও একই হারে দাম বৃদ্ধি করেছে বলে দোকানীরা বলেন। ডমপিরিটন গ্রুপের ট্যাবলেট পূর্বে বিক্রয় হত ২ টাকা এখন বিক্রয় করছে ৩.৫০ সাড়ে তিন টাকা প্রতি পিচ। প্রেসারের ওষুধ বাইজোরান, এ্যাবেকাব, এ্যাম্লডিপিন গ্রুপের প্রতিটি বড়িতে দাম বাড়িয়েছে ৩ টাকা হারে। এ্যান্টিবায়োটিক গ্রুপের ঔষধের দামও একই হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে সবচেয়ে চালু দোকানগুলোতে এই বর্ধিত হারে ওষুধ বিক্রয় করছে। বাজার থেকে একটু বাহিরের দোকানগুলোতে ৫০/৭০ ভাগ বর্ধিত হারে ওষুধ বিক্রয় করছে। ফলে সাধারণ ছিন্নমূল অসুস্থ রোগীরা পরেছে ভোগান্তিতে। এছাড়াও অভিযোগ পাওয়া গেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত নিউটেক ট্যাবলেট এখনো বাজারে বিক্রয় হচ্ছে।