৩১,গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্লাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের এমপি ডা. ইউনুস আলী সরকারের মৃত্যুতে শূন্য হয়েছে আসনটি। আর এই শূন্য আসন পুরণ করতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ২৯ জন সম্ভাব্য প্রার্থী প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে ২১ জন, বিএনপি থেকে ৪ জন, জাতীয় পার্টি থেকে ৩ জন ও জাসদ থেকে একজনের নাম শোনা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বাংলাদেশ কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি (সংরক্ষিত) অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি, সদ্য প্রয়াত এমপি ইউনুস আলী সরকারের ছেলে ড. ফয়সাল ইউনুস, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবু বকর প্রধান, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ, উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি তোফাজ্জল হোসেন সরকার, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়ার খাঁন বিপ্লব, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ সামিকুল ইসলাম লিপন, গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা মাজেদার রহমান দুলু, জেলা আওয়ামী লীগ প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট জরিদুল হক, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ডা. মাহাবুব আলম, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মন্ডল, আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) মাহমুদুল হক, গাইবান্ধা বঙ্গবন্ধু জেলা পরিষদ উপদেষ্টা ও ঢাকা সোহওয়ার্দী হাসপাতালে সাবেক পরিচালক ডা. শাহ মো. ইয়াকুব উল আজাদ, পলাশবাড়ীর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ফজলুল করিম, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক নেতা ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ ওয়াহেদ মিয়া, সাদুল্লাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও গাইবান্ধা জেলা পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ এমএস রহমান, সাদুল্লাপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রেহেনা বেগম, পলাশবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি মরহুম খন্দকার মতলুবর রহমান নান্নুর মেয়ে খন্দকার তামান্না শারমিন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও দড়ি জামালপুর রোকেয়া সামাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আজিজার রহমান বিএসসি, বিশিষ্ঠ শিল্পপতি মফিজুল হক সরকার ও গোপাল চন্দ্র বর্মন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল (বিএনপি) থেকে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সদস্য রফিকুল ইসলাম রফিক, জেলা বিএনপির সদস্য ড. মিজানুর রহমান মাসুম । সাদুল্লাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম স্বপন।
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) থেকে ব্যারিষ্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী, জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক সাচ্ছা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরীর ছেলে মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুমান। জাসদ (ইনু) থেকে সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদির নাম শোন যাচ্ছে।
এদিকে আসন্ন উপনির্বাচনে এই সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা হিসেবে নির্বাচনী এলাকার বাসা-বাড়ির দেয়ালে ও গাছে গাছে সাঁটিয়েছেন পোস্টার-ফেস্টুন। এছাড়া জনসংযোগসহ বিভিন্ন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে নিজের অবস্থানকে জাহির করছেন। শুধু তাই নয়, ফেসবুকেও প্রচারণার সরব হয়ে উঠেন তারা।
অপরদিকে বেশ কিছু ভোটার জানিয়েছেন, আওয়ামীলীগের ২১ জন সম্ভাব্য প্রার্থী হলেও, জনসংযোগে রয়েছে মাত্র ৫ থেকে ৬ জন। বাকীরা শুধু পোস্টার ও ফেসবুকের মধ্যে প্রচারণা সীমাবদ্ধ । জাসদ সম্ভাব্য প্রার্থী এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি, বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী অধ্যপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক ও রফিকুল ইসলাম রফিকের জনসংযোগ চলমান রয়েছে। আর জাতীয় পার্টির কোন সম্ভাব্য প্রার্থী মইনুর রাব্বী চৌধুরী রুমান ছাড়া আর কাউকে মাঠে-ময়দানে দেখা যায়নি। তবে এসব দল থেকে কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন এনিয়ে রাজনৈতি কর্মি ও ভোটারদের মাঝে চলছে চুলচেড়া বিশ্লেষণ।
গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান জানান, গাইবান্ধা-৩ আসনটির উপনির্বাচন বিষয়ে এখনো তফসিল ঘোষণা করা হয়নি।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠিত হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকার ২০১৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর মারা
যান। পরে আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। যার ফলে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আসটিতে।