নাটোরের বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের খাকসা এলাকার সিঙ্গার বিলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার ফলে প্রায় শতাধিক বিঘা জমি কয়েক বছর যাবৎ অনাবাদি পড়ে রয়েছে। ফলে এক সময়ের তিন ফসলী জমিতে বর্তমানে কোন ফসল না ফলানো সম্ভব হচ্ছে না। এতে অভাব অনটনে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এ এলাকার বাসিন্দারা।
এলাকাবাসী জানান, সিঙ্গার বিলের তলদেশে প্রায় শতাধিক বিঘা জমি আনুপাতিক হারে বেশি নীচু। ফলে এসব জমিতে সারা বছরই কমবেশি পানি জমে থাকে। এক সময় শুষ্ক মৌসুমে সরু নালা দিয়ে পানি নেমে গেলে কোন রকমে একটি ফসলের আবাদ করা যেতো। কিন্তু কয়েক বছর আগে পাশে ৪-৫টি পুকুর কেটে নালার মুখ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিলের পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। এতে বিলের সরিষাহাট মৌজার ৫৪৯, ৫৫৪, ৫৫৫, ৫৫৬ ও ৫৭১ হালদাগসহ পাশের প্রায় শতাধিক বিঘা জমিতে সারা বছরই পানি জমে থাকছে। ফলে বর্তমানে কৃষকেরা এসব জমিতে একটি ফসলের আবাদও করতে পারছেন না।
মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চারপাশে আবাদ হলে বিলের ঐ অংশ জুড়ে পানি জমে আছে। দীর্ঘদিন যাবৎ কোন চাষাবাদ না হওয়ায় প্রচুর পরিমাণে কচুরীপানা জমে বিলের পানিও ঢেকে গেছে। এ সময় স্থানীয় কয়েক জন কৃষকের সঙ্গে কথা হয়। রোলভা গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার জানান, বিলে আমার ১২ বিঘা জমি রয়েছে। কিন্তু তিন বছর ধরে জলাবদ্ধতার কারণে এ জমি থেকে কোন আবাদ ফসল পাই না। একই এলাকার জসিম উদ্দিন বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে জমিতে কোন আবাদ করতে পারছি না। আবার সেখানে পুকুর কাটতে গেলেও প্রশাসন অনুমতি দেয় না। এ অবস্থায় পরিবার পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে রয়েছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল আহমেদ জানান, খাকসা বিলে জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। তবে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে জমির ব্যবহার না হওয়ায় কষ্টদায়ক।