১২ বছর ধরে বন্ধ থাকা গাইবান্ধার বোনারপাড়া-দিনাজপুর রেলওয়ে রুটে চলাচলকারী রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেন পুনরায় চালু, ২০ বছর ধরে বন্ধ থাকা ভরতখালি রেলওয়ে রুটে ট্রেন চলাচলের দাবি সহ রেলওয়ের গুরুত্তপুর্ন স্থাপনা উঠে নেওয়ার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে আন্দোলনের নানা কর্মসুচি। এসব কর্মসুচির অংশ হিসেবে শনিবার সকাল থেকেই ট্রেনযাত্রী ও এলাকাবাসী আন্ত:নগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন আধাঘন্টা করে অবরোধ করে রাখে। রেলওয়ে ষ্টেশন চত্বরে জংশন রক্ষা কমিটির উদ্যোগে এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
১১ টা ৪০ মিনিটে লালমনিরহাট থেকে ছেড়ে আসা আন্ত:নগর লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেন আধা ঘন্টা করে অবরোধ করে রাখা হয়। ট্রেন অবরোধ শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন, বোনারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ওয়ারেছ আলী, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেছ আলী প্রধান, রেলওয়ে শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা হায়দার আলী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার গৌতম চন্দ্র মোদক, আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল হুদা দুদু, শাহ মোখলেছুর রহমান মোখলেছ, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি হারুন অর রশিদ হিরু, সাধারন সম্পাদক নাছিরুল আলম স্বপন সহ স্থানীয় ট্রেনযাত্রী ও এলাকাবাসী।
বক্তারা অবিলম্বে রামসাগর ট্রেন চালু, ভরতখালী রুটে ট্রেন চলাচল সহ গাইবান্ধায় আন্ত:নগর সকল ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে বলেন, এ এলাকার মানুষ পুরোপুরি ট্রেনের উপর নির্ভর করে উত্তর এলাকায় যাতায়াত করে থাকেন। এ সময় বক্তারা গাইবান্ধা থেকে একটি নতুন আন্ত:নগর ট্রেন চালুরও দাবি জানান। মানববন্ধনে এলাকার রাজনৈতিক নেতৃবন্দ, রেলওয়ে কর্মচারীরাসহ বিভিন্ন পেশাজীবির সাধারন মানুষ অংশ নেন।
প্রসঙ্গত রামসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিন সকাল ৬ টায় বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত এবং গাইবান্ধা সদরের বাদিয়াখালি ত্রিমোহনী হয়ে কুপতলা, কামারপাড়া, নলডাঙ্গা, বামনডাঙ্গা, পীরগাছা, হাসানগঞ্জ ও অন্নদানগর স্টেশনের উপর দিয়ে কাউনিয়া ও রংপুর হয়ে দিনাজপুর যেত। কোন কারণ ছাড়াই দীর্ঘ এক যুগ ধরে ট্রেনটি বন্ধ রয়েছে। এই ট্রেন চালু হলে গাইবান্ধাসহ কয়েক জেলার মানুষে দুর্ভোগ লাঘব হবে। বোনারপাড়া রেলওয়ে স্টেশন মাষ্টার খলিলুর রহমান জানান, আসলে এসব কিছুই রেলওয়ের উর্দ্ধোতন বিভাগের বিষয়।