নড়াইলে দায়ের করা মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন পেলেন সাবেক আইনমন্ত্রী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। রোববার (৯ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ নীলুফার শিরিন জামিন আদেশ দেন। মামলাটি শুনানির সময় আসামিপক্ষে ও রাষ্ট্রেপক্ষে একাধিক আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন। এদিকে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ নড়াইলের আদালতে হাজির হওয়ায় সকাল থেকে আদালত চত্বরে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর বিকেল ৪টার সময় জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে আপত্তিকর ও মানহানি বক্তব্য দেন। এ সময় বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ করতালির মাধ্যমে ওই বক্তব্য সমর্থন করেন।
এ ঘটনায় ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর নড়াইল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামরুজ্জামান কামাল বাদী হয়ে মাহমুদুর রহমান, মওদুদ আহমেদসহ তিনকে আসামি করে নড়াইল সদর আমলী আদালতে এক হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ মামলাটি আমলে নিয়ে নড়াইল সদর থানার ওসিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশ দেন। নড়াইল সদর থানার তৎকালীন ওসি আনোয়ার হোসেন ২০১৮ সালের ১০ এপ্রিল এজাহার হিসেবে মামলাটি গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল দন্ডবিধি ১২৩ (ক) ১২ (ক) ৫০০, ৫০১ ও ৫০৫ ধারায় মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগে চার্জশিট প্রদান করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদ চলতি (২০২০) বছরের ২৭ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন। হাইকোর্ট নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন জানাতে আদেশ দেন। জেলা ও দায়রা জজ নীলুফার শিরিন উভয়পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে ১০হাজার টাকার বন্ডে জামিন প্রদান করেন। বাদীপক্ষে আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পিপি অ্যাডভোকেট ইমদাদুল ইসলাম ও জিপি অ্যাডভোকেট অচিন চক্রবর্ত্তী। আসামীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবদুল হক ও অ্যাডভোকেট গোলাম মোহাম্মদ।
আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সাংগাঠনিক সম্পাদক শাহরিয়ার রিজভী জর্জ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি ফরিদ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহমুদুল হাসান সানি, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার ফসিয়ার রহমান প্রমুখ।