বড়াইগ্রামের জোয়াড়ী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে কাঁচি দিয়ে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর চুল এলোমেলো ভাবে কেটে দেয়াসহ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীকে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা। পরে ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত কমিটি গঠণসহ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দিলে অবরোধ তুলে নেয় তারা। রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারী) এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রউফ, বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ তহিদুর রহমান ও একাডেমিক সুপারভাইজার মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠণ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রোববার প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন শ্রেণীর প্রায় ৫০ জন ছাত্রের মাথার চুল এলোমেলো ভাবে কেটে দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। পরে এসব শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ স্থানীয়রা এসে তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। একই সঙ্গে তারা বিদ্যালয়ের আট একর জমি লিজ দিয়ে অর্থ আতœসাৎসহ বিভিন্ন ফান্ডের অর্থ তসরুপের অভিযোগে প্রধান শিক্ষককে তার কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তাতেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় ইউএনও আনোয়ার পারভেজ স্বশরীরে বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত কমিটি গঠণ ও অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস দিলে বিক্ষোভকারীরা অবরোধ তুলে নেয়। এ সময় প্রধান শিক্ষক পুলিশী পাহারায় বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।
ইউএনও আনোয়ার পারভেজ বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানান, তদন্ত কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে বিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।