ঝিনাইদহের হরিণাকু-ুতে ইউনিয়ন পরিষদে কাজ ও চাকরি দেওয়া বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চার ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ উপজেলার ৭নং রঘুনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৬,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর এক লিখিত আবেদনে এ অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক গ্রাম পুলিশ মনমোহন দাস ও একই ইউনিয়নের মন্ডলতোলা গ্রামের তাহাজ উদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন।
অভিযোগে মনমোহন দাস জানান, বিগত ৩ বছর পূর্বে ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য বশির উদ্দিন ও ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য আতিয়ার রহমান তার ছেলেকে গ্রাম পুলিশের চাকরি দেওয়া বলে পঞ্চাশ হাজার টাকা নেন। কিন্তু তারা তার ছেলেকে চাকরি দিতে পারেননি। এখন টাকা ফেরত চাইলে তারা টালবাহানা করছেন।
অপর অভিযোগে মন্ডলতোলা গ্রামের মর্জিনা খাতুন জানান, তাকে ৪ বছর মেয়াদী কেয়ারের কাজ দেওয়া বলে ইউপি সদস্য বশির উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম ও সোহরাব হোসেন ত্রিশ হাজার টাকা নেন। কিন্তু তারা কাজও দেননি টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। টাকা চাইলে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আতিয়ার রহমান ও অভিযুক্ত অপর তিন সদস্য বলেন, অভিযোগের বিষয় সম্পুর্ন ভিত্তিহীন। আমরা ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেলের বিরুদ্ধে কেয়ারের কাজে লোক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে অভিযোগ করেছি। একারনে চেয়ারম্যান আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য ওই ব্যক্তিদের দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করিয়েছেন।
জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান রাকিবুল হাসান রাসেল বলেন, ওই ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে কেয়ারের কাজ ও গ্রাম পুলিশে চাকরি দেওয়া বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। আমি লটারীর মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে লোক নিয়োগ দিয়েছি।