বর্তমান সময়ে দেশের একটি জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এটি অনেকে ভাল কাজে ব্যবহার করে থাকেন। আবার অনেকে খারাপ কাজেও ব্যবহার করেন। এই ফেসবুককে ব্যবহার করে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মানবিক কিছু যুবকদের নিয়ে গঠিত হয়েছে কয়েকটি অনলাইন ব্লাড ব্যাংক। এসব ব্লাড ব্যাংকের মধ্যে কোটালীপাড়া ব্লাড ব্যাংক, জ্ঞানের আলো পাঠাগার অনলাইন ব্লাড ব্যাংক, আমরা মানবতার সেবক অন্যতম। মুমূর্ষ রোগীদের রক্তের প্রয়োজনে এসব ব্লাড ব্যাংকের ফেসবুক গ্রুপে পোস্টে দিলেই মিলে যায় রক্ত।
প্রথমে কোটালীপাড়া, তারপর গোপালগঞ্জ জেলার গন্ডি পেরিয়ে কোটালীপাড়া ব্লাড ব্যাংক রাজধানী ঢাকাসহ এখন দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন কোটালীপাড়া ব্লাড ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা এডমিন কামরুল ইসলাম দিপু।
কামরুল ইসলাম দিপু বলেন, আমাদের এই গ্রুপে বর্তমানে প্রায় ১৬হাজার সদস্য কাজ করছেন। ২০১৮ সালের ১০ মার্চ গ্রুপটি গঠন করা হয়। এই গ্রুপ থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১০হাজার রোগীকে রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়া হয়েছে। বিনিময়ে কোন রোগী ও তাদের পরিবারের কাজ থেকে কোন অর্থ নেওয়া হয়নি। সকল সদস্যই এই গ্রুপে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেন।
উপজেলার বাগান উত্তরপাড়া গ্রামের সঞ্জিত গাইন বলেন, আমার এক আত্মীয় অপারেশনের জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়। আমি কোটালীপাড়া ব্লাড ব্যাংক গ্রুপের সদস্য শিপন তাজকে ফোন দিয়ে জানাই। শিপন তাজ ১ঘন্টার মধ্যে আমাকে রক্তদাতা সংগ্রহ করে দেয়। এজন্য শিপন তাজ আমার কাজ থেকে কোন অর্থ নেয়নি।
কলেজ ছাত্র শিপন তাজ বলেন, আমি এই ৫মাস কোটালীপাড়া ব্লাড ব্যাংক গ্রুপে যুক্ত হয়েছি। এই সময়ে আমি প্রায় শতাধিক মুমূর্ষ রোগীকে রক্তদাতা সংগ্রহ করে দিয়েছি। এ সকল রক্তদাতার মধ্যে অধিকাংশই ছাত্র। রক্তদাতা সংগ্রহ করে দেওয়ার পরে খুবই আনন্দ লাগে এই ভেবে যে, মানুষের জন্য কিছু করতে পারলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান বলেন, কোটালীপাড়া ব্লাড ব্যাংকসহ কয়েকটি সামাজিক সংগঠন ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে অত্যন্ত স্বচ্ছতার সহিত রক্তদাতা সংগ্রহ করে থাকেন। বিনিময়ে এরা কোন অর্থ নেয় না। এরা আগামীতেও ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে এ ধরণের মানবিক কাজ করবেন এটাই প্রত্যাশা করছি।