গাজীপুরের কালীগঞ্জে কোর্টের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে অন্যের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ঘর ভাংচুর, বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ প্রায় তিন লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের মমতাজ বেগমের বাড়িতে বৃহস্প্রতিবার সকালে ঘটেছে।
স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের আনোয়ার আলী দেওয়ান, মোস্তফা দেওয়ান ও মানছুর আলম দেওয়ান বাচ্চু বিগত ২০১৮ইং সনে একই গ্রামের মমতাজ বেগমের ক্রয়কৃত জমি জোরপুর্বক জবর দখলের হুমকি প্রদান করেন। বিধায় মমতাজ বেগম বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত, গাজীপুরে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারায় ১৯৭/২০১৮ নং পিটিশন মোকাদ্দমা দায়ের করেন। আদালত বাদী ও বিবাদীদের বক্তব্য, দখল ও কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে মমতাজ বেগমের পক্ষে রায় ঘোষণা পূর্বক বিবাদীদের জমিতে প্রবেশে নিষেধ করে। কিন্তু বিবাদীগণ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২০ইং সকালে আনোয়ার আলী দেওয়ান, মোস্তফা দেওয়ান ও মানছুর আলম দেওয়ান বাচ্চুর নেতৃত্বে অজ্ঞাত ১৫/১৬ জন লোক নিয়ে মমতাজ বেগমের মালশিয়া প্রবাসী স্বামী শাহাবুদ্দিন মোড়লের বাড়ী হামলা চালায়। এ সময় মমতাজ বেগমের একটি থাকার ঘর ও আসবাবপত্র ও জমির বাউন্ডারী ভাংচুর শেষে জমিতে রোপণকৃত বিভিন্ন গাছের চারা ভাংচুরসহ প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মমতাজ বেগম জানান, আমার স্বামী সারফুদ্দিন মোড়ল মালয়েশিয়া প্রবাসী। তিনি গত ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ তারিখে ১৯২২ এবং ১ আগস্ট ২০১৯ তারিখে ৬১৯১ নং সাফ কবলা দলিল মূলে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর মৌজার আর এস ৮১নং খতিয়ানের ২৫৭ দাগের ১৬ শতক জমি ফজলুল হক দেওয়ান, বজলুল হক দেওয়ান, মজিবুর দেওয়ান, আবুল কালাম দেওয়ান, মো. ইসমাইল দেওয়ান, ফিরুজা বেগম ও তাজুল দেওয়ানের নিকট থেকে ক্রয় করে নিজ নামে নামজারী ও জমাভাগ করে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ পূর্বক জমি ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু আনোয়ার আলী দেওয়ান, মোস্তফা দেওয়ান ও মানছুর আলম দেওয়ান বাচ্চুগং এ জমি জোরপূর্বক দখলের হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে আমি কোর্টে মামলা দায়ের করি। আদালত সরেজমিনে দখল ও কাগজপত্র যাচাই করে আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন। তার পরও বিবাদীগণ আইনকে অবজ্ঞা করে আমার বাড়ী ঘরে ভাংচুর চালায়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার এসআই মছিউর রহমান জানান, ৯৯৯ থেকে কল পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বঝায় রাখতে বলেছি।
কালীগঞ্জ থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ একেএম মিজানুল হক জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্তপুর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেযা হবে।